নিউজ ডেস্ক: ছাতকের সিংচাপইড় গ্রামে একটি ঘরের ভেতর মানুষের হাতের আকৃতির কাঠমো ভেসে ওঠায় এটা গায়েবি আজাব নামার পূর্বাভাস বলে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তোলপাড় তৈরি হওয়ার পর প্রশাসনেরও টনক নড়ে। পরে বিশেষজ্ঞরা এসে এটাকে একধরনের ছত্রাক হিসেবে চিহ্নিত করে।
গতকাল শুক্রবার গৃহকর্তা আব্দুল হান্নানের স্ত্রী জয়ফুল ঘটনাটি জনসমক্ষে প্রকাশ করলে দিনভর এনিয়ে ব্যাপক জল্পনাকল্পনার ঝড় উঠে। পরে জাউয়া পুলিশ ঘটনাস্থলে প্রাণি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এলো তারা এটাকে একধরনের বিষাক্ত ছত্রাক হিসেবে অভিহিত করে। পুলিশ পরে ওই মানুষের হাতের আকৃতির ছাত্রক আবাস ভেঙ্গে দেয়।
জানা যায়, আব্দুল হান্নানের বসত ঘরে একটি বাঁশের পালার গুড়ায় ৩/৪মাস পূর্ব থেকে একটি ছত্রাকের জন্ম নেয়। ধীরে ধীরে বিষাক্ত ছত্রাকটি ডাল-পালা দিয়ে মানব হাতাকৃতি ধারণ করলে তার স্ত্রী জয়ফুল গায়েবী হাতের জন্ম হয়েছে বলে এটিকে ঢেকে রাখে।
শুক্রবার তার ঘরে গায়েবী হাতের জন্ম হয়েছে বলে প্রচার করলে সিংচাপইড় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদরুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সাহেলকে বিষয়টি জনান। সকাল থেকে দর্শনার্থীরা এসে কথিত গায়েবি হাতের উপর হাজার হাজার টাকা দান করেন।
পরে চেয়ারম্যান ঘটনাস্তলে এসে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামানকে জানালে তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের আসিফ হোসেন ও আনিছুর রহমানসহ ৩জন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। এতে তারা এলাকা পরিদর্শন করে একটি লিখিত রিপোর্টে বলেন, এটি বন্য জাতীয় ক্ষতিকর ছত্রাক। এটিকে পূঁজি করে ধর্মীয় কোন অপপ্রচার ও ভন্ডামী করার কোন অবকাশ নেই। কথিত গায়েবি হাত নয় এটি বিষাক্ত ছত্রাক বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন তারা।
এর আগে জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর এস আই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছত্রাক টি ভেঙ্গে দেন। এব্যাপারে নির্বাহী অফিসার আরিঢুজ্জামান ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সাহেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিষয় দিনভর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোর ঝড় তুলে।-পূর্বপশ্চিম
০৮ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/ফিরোজ/এফএ