সুনামগঞ্জ থেকে : বাসররাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন এক বর। বাড়ির পেছনের মরা নদীতে জাল ফেলে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত রোববার উপজেলার বালিজুড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুশ শহিদের ছেলে সোয়েব মিয়া (৩০) একই গ্রামের আব্দুন নূরের মেয়েকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। গতকাল সোমবার বৌভাত অনুষ্ঠানে হাস্যজ্জল ছিলেন তিনি।
শ্বশুর বাড়ির লোকজনসহ স্বজনদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ করেন তিনি। সোমবার রাতে ছিল তাদের বাসর। এ উপলক্ষে বরের স্বজনরা ভালো করে নবদম্পতির বাসরঘর সাজিয়েছিলেন। কিন্তু সকালে উঠে স্বজনরা বাসরঘরে তাকে না পেয়ে খুঁজতে গিয়ে লাশের সন্ধান পান।
পরিবার ও পুলিশের ধারণা, বাসরঘর থেকেই কোনও দুষ্কৃতকারী তাকে কোনও কাজে বাইরে বের করে নিয়ে এসে হাত-পা ও মুখ বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরা নদীতে লাশ ফেলে দেয়। সকালে স্বজনরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
একপর্যায়ে বাড়ির পেছনের নদীর ঘাটে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. বরকত উল্লাহ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনা খতিয়ে দেখতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুলিশ এটাকে পরিকল্পিত ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে খুনের একাধিক সূত্র খুঁজে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দনকান্তি ধর বলেন, "বাসরঘরে ঢোকার আগেই দুষ্কৃতকারীরা তাকে হয়তো কৌশলে ঘর থেকে বের করেছিল। পরে নদীর তীরে এনে শাসরোধ করে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। এটি একটি পরিকল্পিত খুন। একাধিক সূত্র খুঁজে পেয়েছি।" শিগগির দোষীদের খুঁজে পাওয়া যাবে এবং এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এমটিনিউজ/এসবি