সুনামগঞ্জ থেকে: বাঁশ দিয়ে বাড়িতে চলাচলের পথ আটকে দিয়েছেন চাচা। এ ক্ষেত্রে দুটি বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। দুই বাঁশের মাঝে যে ফাঁক তা গলে স্কুলে যাওয়া-আসা করে ওই ব্যক্তির ভাতিজা শিশু শিক্ষার্থী তানভির। ঘটনাটি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের সুকদেবপুর গ্রামের।
শিশু তানভির (৭) সুকদেবপুর আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেনের ছাত্র। প্রতিদিন বাড়ির সামনে বাঁশের বেড়ার ফাঁক গলে স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হয় তাকে। স্থানীয়রা শিশু তানভিরের স্কুলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এ দুর্ভোগকে অমানবিক হিসেবে দেখছেন।
তানভিরদের বাড়ির সামনে বাঁশ দিয়ে পথরোধের কারণ সম্পর্কে স্থানীরা জানান, ২০০৯ সালে তানভিরের প্রবাসী পিতা মনকুস আলী চাচাতো ভাই দিলসাদের কাছ থেকে ৬ শতক জমি কিনেন। ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণের পরও জমির দলিল মনকুসের কাছে দেননি দিলসাদ। এ বিষয়ে দিলসাদকে দলিলের কথা বললে অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকা দাবি করে সে।
টাকা না দেওয়ায় দিলসাদ মিয়া মনকুস আলীর বাড়ির সামনে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে দেন। কেটে ফেলেন বাড়িতে লাগানো শীতকালিন সবজির গাছ।
প্রবাসী মনকুস আলী জানান, আমার বাড়িতে কোনো পুরুষ নেই। স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা বাড়িতে থাকেন। দিলসাদ মিয়া আমার স্ত্রীকে অতিরিক্ত টাকা দিতে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। টাকা না দেয়ায় বাড়ির সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে আমাদের যাতায়াতের রাস্তা আটকে দিয়েছেন।
শিশু তানভির বলেন, ‘আব্বা বিদেশ থাহেন, চাচা বাড়ির সামনে বাঁশ বাইন্দ্যা দিছে, এহন আমি বাঁশের নিচ দিয়া ইসকুলে যাই’। এ ব্যাপারে দিলসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সূত্র: পরির্বতন
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি