সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে একই দিনে দুই দফায় চুমকি বেগম (২৫) নামে এক কয়লা শ্রমিকের স্ত্রী তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। রোববার স্বাভাবিকভাবে দুই দফায় পরপর তিন সন্তানের জন্ম দেন ওই মা।
এর মধ্যে একটি ছেলে ও অপর দুজন কন্যা সন্তান। চুমকি বেগম সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের মাটিয়াইন হাওর তীরবর্তী কুঁড়েরপাড় গ্রামের কয়লা শ্রমিক সোহেল আহমদের স্ত্রী।
বর্তমানে মা ও তিন নবজাতক সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। সোমবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স আমেনা বেগম জানান, মা ও নবজাতক তিন শিশু সন্তানের শারীরিক অবস্থা ভাল রয়েছে।
সোহেল আহমদ যুগান্তরকে জানান, রোববার সকালে গ্রামের বাড়িতে চুমকির প্রসব ব্যাথা শুরু হলে স্থানীয় ধাত্রী ও পল্লী চিকিৎসকের সহায়তায় সকাল ৮টার দিকে প্রথমে এক ছেলে সন্তান ভূমিষ্ট হয়। এরপরও প্রসব ব্যথা তীব্র হলে স্থানীয় চিকিৎসক এবং ধাত্রী গর্ভের ভেতর আরও সন্তান রয়েছে জানিয়ে দ্রুত সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
পরে দুপুর ১২টার দিকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। বিকাল ৩টার দিকে সদর হাসপাতালে সিজার বা অপারেশন ছাড়াই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আরও দুই নবজাতক কন্যা সন্তান প্রসব করেন চুমকি।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ছেলে সন্তানের ওজন এক কেজি এবং অপর দুই কন্যা সন্তানের ওজন দুই কেজি করে।
মা ও তিন নবজাতক সুস্থ রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ক্যাঙ্গারু মাদার (মায়ের বুকের সঙ্গে শিশুদের জড়িয়ে রাখার বিশেষ বেল্ট) এর ব্যবস্থা করা গেলে শিশুরা আরও বেশি সুরক্ষিত থাকবে।
উল্লেখ্য, এ দম্পতির ৬ বছর পূর্বে বিয়ে হয়েছে। সাবিকা বেগম নামের তাদের চার বছর বয়সী এক কন্যা রয়েছে।