সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় বজ্রপাতে ৪ কৃষক নিহ'ত হয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে শাল্লা, জগন্নাথপুর, দিরাই ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জে এসব ঘ'টনা ঘ'টে।
শাল্লায় নিহ'ত কৃষকের নাম শংকর সরকার (২২)। তিনি হবিবপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের সুরেন্দ্র সরকারের ছেলে। একই সময়ে জগন্নাথপুরের বাউধরণ গ্রাম পার্শবর্তী হাওরে গরু নিয়ে যাবার সময় বজ্রপাতে নিহ'ত হন শিপন মিয়া (৩৩) নামের আরেক কৃষক। তিনি বাউধরণ গ্রামের মৃত তবারক মিয়ার ছেলে। বজ্রপাতে একটি গরুও নিহ'ত হয়।
এ ছাড়া দিরাইয়ে ধান কাটতে হাওরে গিয়ে বজ্রপাতে নিহ'ত হয়েছেন কৃষক তাপস মিয়া (৩৫)। তিনি হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের মফিজ উল্লার ছেলে। একই সময় দক্ষিণ সুনামগঞ্জের হাওরে বজ্রপাতে নিহ'ত হয়েছেন কৃষক ফরিদ মিয়া (৩৫)। তিনি উত্তর গাজীনগরের আমিরুল ইসলামের ছেলে। এ সময় দুটি গরুও নিহ'ত হয়।
শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলামিন চৌধুরী জানান, বজ্রপাতের ঘ'টনায় শংকর সরকার শ্বাসখাই বাজারে যাবার পথেই নিহ'ত হয়েছেন। এরপর তার স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন, ডাক্তাররা তাকে মৃ'ত ঘো'ষণা করেন।
জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, বাউধরণ গ্রাম পার্শবর্তী হাওরে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহ'ত হওয়ার খবর স্থানীয় ইউপি সদস্য জানিয়েছেন তাকে।
দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী জানান, কৃষক তাপস মিয়া ধান কা'টতে জলসুখা থেকে সরমঙ্গলে এসেছেন। শনিবার সকালে তিনি অন্যদের সঙ্গে পাশের উদগল হাওরে ধান কা'টতে গিয়েছিলেন। হাওরে ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে তাপস দৌ'ড়ে সরমঙ্গল গ্রামে ফে'রার চে'ষ্টা করেন। এসময় পথেই বজ্রপাতে তিনি নিহ'ত হন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার পাঁচগুছিয়া হাওরে বজ্রপাতের ঘ'টনায় ফরিদ মিয়া নামের ওই কৃষক নিহ'ত হন। এসময় তার দুটি গরুও মা'রা গেছে। সূত্র: সমকাল