সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুনই নদী জলমহালে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে বেখইজুড়া, সুনই, কুষ্টিবাড়িসহ তিন গ্রামের মানুষ। এসব গ্রামে বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ নেই। নারীরা রয়েছেন উৎকণ্ঠায়। এদিকে ধর্মপাশা থানা পুলিশ সংঘর্ষে নিহত শ্যামাচরণ বর্মণের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
১৪২২ বাংলা সন হতে চলতি ১৪২৭ বাংলা সন পর্যন্ত ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৬৬১ টাকা ইজারামূল্যে জলমহাল তীরবর্তী সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে ইজারা দেয় সরকার। ওই সমিতির পক্ষে চলতি ১৪২৭ বাংলা সনের ইজারা মূল্যসহ অন্যান্য সরকারি কর যথারীতি পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় জলমহালের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সমিতির দুই প্রভাবশালী সদস্য চন্দন বর্মণ ও সুবল বর্মণ লোকজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এরপর থেকে জলমহাল দখল রাখতে উভয়পক্ষ মরিয়া হয়ে ওঠে। এ ঘটনার আগেও জলমহলের দখল নিতে পাল্টাপাল্টি মহড়া দেয় দুই গ্রুপের সদস্যরা। এদের এক পক্ষের নেতৃত্ব দেয় চন্দন বর্মণ ও অন্যপক্ষের নেতৃত্ব দেয় সুবল বর্মণ। এই দুই পক্ষই বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে একজন নিহত ও কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। ওই ঘটনার পরই আটজনকে আটক করা হয়।
এরপর থেকেই ওই গ্রামের পুরুষরা গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছেন। পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, সাধারণ গ্রামবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অহেতুক কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা হবে না। এ ঘটনায় রাতেই বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।