সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের ছাতকে ধর্ষণের শিকার ১৩ বছর বয়সী এতিম কিশোরী দুই মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার মাদ্রাসাশিক্ষক হাফেজ সোলেমান আলী (২৬) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক হাফেজ সোলেমান আলীকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাতক জোনের বিচারক বেলাল উদ্দীনের আদালতে হাজির করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। এরপর আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ। হাফেজ সোলেমান আলী ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের জাতুয়া গ্রামের ক্বারী আপ্তাব আলীর ছেলে। তিনি হবিগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ৫ নভেম্বর ওই কিশোরীকে ছাতক উপজেলার জাতুয়া গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে ধর্ষণ করেন হাফেজ সোলেমান আলী। এরপর নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। গ্রামের লোকজনের চাপে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন হাফেজ সোলেমান আলী। কিন্তু নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে এক পর্যায়ে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায় সোলেমানের পরিবার। এঘটনায় গত ২৫ জানুয়ারি হাফেজ সোলেমান আলীর বিরুদ্ধে ছাতক থানায় অভিযোগ করেন কিশোরীর বড় বোন। বুধবার সকালে পুলিশ অভিযুক্ত হাফেজ সোলেমান আলীকে সিলেট নগরীর হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরী আদালতে জবানবন্দী দেয় এবং তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন।