মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের জিরো পয়েন্টে যাদুকাটা নদীর অবৈধ পাথর কোয়ারীতে বালি চাপা পড়ে শাজাহান মিয়া (৪৫) নামের এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো ২জন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনের ফুফাত ভাই বোরহান উদ্দিনসহ এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বাংলাদেশ-ভারতে সীমান্তের ১২০৩নং পিলার সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে অবস্থিত যাদুকাটা নদীতে প্রায় শতাধিক অবৈধ পাথর কোয়ারী তৈরি করেছে। প্রতিটি কোয়ারী তৈরি করার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের সমিতি ও বিজিবি নামে ৩হাজার টাকা,পাথর পরিবহণের প্রতিটি লড়ি থেকে ৩হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন রাস্তা মেরামতের নামে প্রতি লড়ি থেকে ১শত টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিজিবি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমিতি নামে এসব চাঁদার টাকা উত্তোলন করছে লাউড়গড় গ্রামের এরশাদ মিয়া,জমির মিয়া,আসাদ মিয়া,আমিন মিয়া ও ডিবিন মিয়া। প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার দুপুরে ভারতের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত অবৈধ পাথর কোয়ারীতে পাথর উত্তোলন করার সময় পাথর কোয়ারীর বালির স্তর ধ্বসে পড়ে ৩শ্রমিক বালির নিচে চাপা পড়ে যায়। এরপর প্রায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা করে শ্রমিক শাজাহান মিয়াকে মৃত উদ্ধার করে এলাকাবাসী। আর অন্য ২শ্রমিককে দ্রুত সুনামগঞ্জ পাঠনো হয়।
এব্যাপারে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সাঈদ বলেন,পাথর কোয়ারীর বালির নিচে চাপা পড়ে শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পেয়েছি কিন্তু কেউ মারা যাওয়ার খবর পাইনি।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ শ্রমিক নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সীমান্তের এসব অনিয়ম নিয়ে পুলিশ কোন পদক্ষেপ নিতে গেলে বিজিবি বাধা প্রদান করে,শ্রমিক নিহতের ঘটনার প্রেক্ষিতে লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ,অবৈধ পাথর কোয়ারী দখল নিয়ে এর আগে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত হওয়াসহ বিএসএফের তাড়া থেকে নদীতে ডুবে ৬জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া কয়লা ও ঘোড়া পাচাঁর করার সময় ২চোরাচালানীকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
১০ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস