সিলেট ব্যুরো: রক্তপাতের আশংকা ছিল, ছিলো আরও অনেক কিছুর আশাংকাও। ১শ' কোটি টাকার সম্পদ বলে কথা! তবে শেষ পর্যন্ত সেরকম কিছু ঘটেনি। প্রায় ৩২ বছর পর বিনা বাধায় সিলেট নগরীর দক্ষিণ কাজলশাহ এলাকায় প্রায় ১শ’ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেট জজ কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যাট জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়েছিল। নানা আশংকায় মোতায়েন করা হয়েছিল দেড় শতাধিক পুলিশ। এরমধ্যে মহিলা পুলিশের সংখ্যাও ছিলো অনেক।
জানা যায়, ঐ এলাকার মরহুম হাজী আব্দুল বারীর পূত্র আব্দুর রহমান, তার অপর ভাই ও ৫ বোনের ২৩০ ডেসিমিল ভূ-সম্পত্তি তাদের সৎ ভাই আব্দুর রউফ লাল মিয়া গত প্রায় ৩২ বছর থেকে ভোগ দখল করে আসছেন।
আব্দুর রহমান আবুল জানিয়েছেন, তার মায়ের দেওয়া রেজিস্ট্রিকৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল ও ভোগ করেছেন তার সৎভাই লাল মিয়া।
দীর্ঘদিন মামলা চলার পর সম্পত্তি উচ্চ আদালতের রায় তাদের পক্ষে ঘোষিত হলে ঐ সম্পদের উপর বসোবাসকারী ভাড়াটিয়া ও বিভিন্ন স্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্টদের জায়গাটি খালি করে দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
কিন্তু দখলদারদের ইন্ধনের তারা সে অনুরোধে সাঁড়া না দেওয়ায় মঙ্গলবার সকালে দেড় শতাধিক পুলিশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল।
৩ দশকের বেশি সময় পর নিজ সম্পত্তি ফিরে পেয়ে আব্দুর রহমান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় এবং আদালত ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তার বোন নাম প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নন। তিনিও তার মায়ের দেয়া সম্পদ ফিরে পেয়ে উচ্ছসিত। বললেন, '৩০ বছর বাদে নিজের সম্পদে পা দিলাম। এতদিন আমি এদিকে পা বাড়াইনি রাগে দুঃখে।'
এ ব্যপারে ম্যাজিস্ট্যাট জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী দুপুরে বলেছিলেন, আমরা আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে অভিযান শুরু করেছি।
অধিবাসীদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
২২ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস