সিলেট ব্যুরো: সিলেট শহরের উপকণ্ঠ খাদিমনগরে সবুজ শ্যামলিমার মধ্যে অবস্থান ‘এক্সেলসিয়র সিলেট’। সিলেটের পর্যটনের নতুন এই পালক ‘জাকারিয়া সিটি’ নামেও সুপরিচিত। গাঢ় সবুজের সমারোহের মধ্যে অবস্থিত আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট ‘এক্সেলসিয়র সিলেটে’র সৌন্দর্যের টানে প্রতিদিন ছুটে যান শত শত পর্যটক।
সিলেটের তো বটেই, সারাদেশের যেসব পর্যটক রূপ-লাবণ্যে অনন্য সিলেটে ছুটে আসেন, তারাও একবারের জন্য হলেও ঢুঁ মারেন এক্সেলসিয়র সিলেটে। এখানকার নান্দনিক সৌন্দর্য, প্রকৃতিঘেরা পরিবেশ, জানা-অজানা পাখির কলতান, উঁচু-নিচু পাহাড়চূড়া মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
এছাড়া, সিলেট শহর থেকে সামান্য দূরত্ব এবং যাতায়াতের পথ সহজতর থাকায় পর্যটকরা এক্সেলসিয়র সিলেটের প্রতি আকৃষ্ট হন। অনেক পর্যটকই, বিশেষ করে সিলেটের বাইরে থেকে যারা আসেন, তারা এক্সেলসিয়রের সুদৃশ্য, সাজানো-গোছানো, মনোরম পরিবেশের মোটেলেই রাতযাপন করেন। প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে তৃপ্ত হয়ে ফিরেন তারা।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অন্তত দুই শতাধিক পর্যটক এক্সেলসিয়র সিলেটের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেল, প্রতিদিনই সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এক্সেলসিয়রের বিভিন্ন রাইড (বাম্পার কার, সুইং বল প্রভৃতি) চড়েছেন ১৭শ’ জন পর্যটকরা। অনেক বিনোদন নিচ্ছেন এই অসাধারণ একটা পরিবেশ থেকে।
দেখাযায়, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার একটি স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে এসেছে বিশাল এক টিম। নিজের সন্তানকে নিয়ে ওই সফরে আসা অভিভাবক তানজিলা খাতুন বলেন, ‘স্কুল থেকে যখন এক্সেলসিয়র সিলেটে আসার কথা বলা হলো, না করতে পারিনি। কেননা, এই পর্যটন স্থানের কথা অনেক শুনেছি। এবার এসে মুগ্ধ হলাম।’
চট্টগ্রাম থেকে সস্ত্রীক এসেছেন বাদল রায়। তিনি বলেন, ‘এক্সেলসিয়র সিলেট এককথায় চমৎকার! অসাধারণ এক স্পট। পাহাড়, সবুজ, পাখির কলতান- সবমিলিয়ে মনোমুগ্ধকর!’
এক্সেলসিয়র সিলেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিক সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘পর্যটকবান্ধব বলতে যা বুঝায়, তাই হচ্ছে এক্সেলসিয়র সিলেট। পর্যটকরা যা চান, তার সবই আছে এখানে। দিনকেদিন আমরা এক্সেলসিয়র সিলেটকে আরো সৌন্দর্যম-িত করছি। যে কারণে প্রতিদিন পর্যটকদের আনাগোনা থাকে এখানে।’
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস