সিলেট থেকে : শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় শিববাড়ির আতিয়া মহলের পাশে বিস্ফারণে আহত হয়েছিলেন ফারুক নামের এক ব্যক্তি। আহত অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল রেজিস্টারে তার নাম রয়েছে। কিন্তু ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই তিনি উধাও।
জানা যায়, হাসপাতালে অনেক খুঁজেও তার সন্ধান পায়নি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। ওই হামলার ব্যাপারে তাকে প্রাথমিক সন্দেহে রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সন্দেহে আছেন আহত হয়ে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি থাকা আরও এক ব্যক্তি। সন্দেহে আছেন নিহতদের মধ্যে দু’জন। ফলে নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজনের লাশ রোববার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও দু’জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়নি।
এদের মধ্যে কাদিম শাহ ও শহীদুল ইসলামের মরদেহ রোববার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি পুলিশ। তারা দু’জন পরস্পরের বন্ধু এবং দুজনই নগরীর দাড়িয়াপাড়ায় প্রাইম লাইটিং এন্ড ডেকোরেটর্সে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএম রোকন উদ্দিন বলেন, চারজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও রোববার দুজনের লাশ হস্তান্তর করা হয়নি। তাদের ব্যাপারে আমাদের একটু খোঁজ খবর নেওয়া দরকার। তাদের পরিবারের সাথে আমরা আলাপ করবো।
তিনি বলেন, কারা হামলার সাথে জড়িত, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে বলা যাবে। এ ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের ব্যাপারেও আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বলেন, বোমা বিস্ফোরণস্থলের পাশে বাজারের ব্যাগ ও সবজি পড়ে থাকতে দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হামলাকারী জঙ্গি সঙ্গে থাকা বোমা গোপনে সবজির ব্যাগে করে বহন করেছিল।
এই হামলা আত্মঘাতি কী না এ ব্যাপারেও এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। প্রথম দফায় বোমা হামলাকারী জঙ্গি সবজির ব্যাগে করে বোমা বহন করে বিস্ফোরণ ঘটায় বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মহানগরীর শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে আতিয়া মহল নামের একটি পাঁচতলা বাড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে শনিবার সন্ধ্যায় ওই ভবনের পাশেই বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম, আদালত পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়ছর, ছাত্রলীগ নেতা জান্নাতুল ফাহমি ও অহিদুল ইসলাম অপু, ছাতকের দয়ারবাজার এলাকার কাদিম শাহ এবং নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার শহীদুল ইসলাম। আহত হন অন্তত ৪৫ জন।
২৭ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস