রাহিব ফয়ছল, সিলেট ব্যুরো: দীর্ঘ আইনী লড়াই আর প্রতীক্ষা শেষে অবশেষে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের চেয়ারে ফের বসলেন আরিফুল হক চৌধুরী। আজ রবিবার শোডাউন করে নগর ভবনে গিয়ে ফের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। নতুন করে তার দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে নগর ভবনে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার লোকজনদের নিয়ে বাসা থেকে নগর ভবনের উদ্দেশ্যে বের হন আরিফ। পায়ে হেঁটে নগরীর চৌহাট্টা হয়ে সকলকে নিয়ে নগর ভবনে সোয়া ১১টার দিকে পৌঁছান তিনি। এসময় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আরিফকে ফুলেল অভর্থ্যনা জানান।
আরিফ নতুন করে মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে আমি আমার পরিষদ নিয়ে নগরীর উন্নয়ন কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমাকে দুই বছর কারাগারে রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার আগে নগরীর উন্নয়নে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা পূরণ করতে চাই। উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়নের জন্য সকল মহলের মতামত গ্রহণ করা হবে।’
নগরীতে জঙ্গিদের আস্তানার বিষয়ে আরিফ বলেন, ‘ভাড়াটিয়ারা যেসব তথ্য বাড়িওয়ালার কাছে দেন, তা অনেক সময় সঠিক হয় না। এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে বসবো। কিভাবে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য নেওয়া নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবো।’
২০১৩ সালের ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় জড়িয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তাকে মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে আরিফের নাম সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
দীর্ঘ দুই বছর ৫ দিন কারাভোগ করার পর চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি সবকয়টি মামলায় জামিনে মুক্ত হন তিনি। গত ১৩ মার্চ আরিফের রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ২৩ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশই বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
২ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস