নিউজ ডেস্ক: সিলেটে নির্যাতন করে শিশু সামিউল আলম রাজনকে হত্যার মামলায় সৌদিপ্রবাসী কামরুল ইসলামসহ চার আসামিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ফাঁসির রায় উচ্চ আদালতও বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজনের বাবা শেখ মো. আজিজুর রহমান। হাইকোর্ট মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রায় ঘোষণাকালে তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আজিজুর রহমান বলেন, 'বিচারিক আদালতে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। সে রায়ে আসামিদের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টেও সেটা বহাল থাকায় আমি সন্তুষ্ট। '
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার আলোচিত এই হত্যা মামলায় চার আসামির ফাঁসির রায় বহাল রাখেন।
২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার মূল আসামি কামরুল ইসলাম ওই হত্যাকাণ্ডের দুই দিনের মাথায় পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যায়। পরে ভিডিও দেখে প্রবাসীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। পরে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
মাত্র ১৭ কার্যদিবসে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। সেখানে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া একজনের যাবজ্জীবনসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল আহমদের ফাঁসির আদেশ হয়।
এদিকে রাজনকে নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া নূর মিয়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পেলেও হাইকোর্ট তা কমিয়ে ৬ মাস করেছেন। আদালত বলেন, 'এ মামলায় এই ভিডিও ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য। ফলে তার সাজা কমিয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। ' আদালত আরও বলেন, 'তার ভিডিও ধারণ ইনটেনশনাল ছিল না, কৌতুহলবশত সে এটি করেছে। '
১১ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/টিটি/পিএস