সিলেট থেকে : ২০০৪ সালে সিলেটে তৎকালীন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে বুধবার রাতে।
সিলেটে ২০০৪ সালের ওই হামলার ঘটনায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হয়েছিলেন আর আহত হন আনোয়ার চৌধুরীসহ অর্ধশত মানুষ। আহতদের মধ্যে ছিলেন সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিক মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান।
একযুগ আগের সেই ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতিচারণ করে মুহিবুর রহমান বলেন, সেদিন ছিলো শুক্রবার আর জুমার নামাজের আগে হযরত শাহজালালের মাজারে এসেছিলেন তখনকার ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। তিনি প্রথমে মাজার জিয়ারত করেন ও পরে মাজার মসজিদে জুমার নামাজ পড়েন।
সেখানেই ছিলেন সাংবাদিক মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান। তিনি বলেন, নামাজের পর আনোয়ার চৌধুরী যখন বের হলেন তখন অনেক মানুষ ওনার সাথে করমর্দন করে ও অভিনন্দন জানায়। উনি উচ্ছ্বসিত হয়ে সবার সাথে হ্যাণ্ডশেক করে বের হন এবং তার পাশে আমরা অনেক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলাম।
মুহিবুর রহমান বলেন, "হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হলো। আমরা পড়ে যাই দরগার প্রধান ফটকের সামনে। এরপরই অজ্ঞান হয়ে যান এবং পরে যখন জ্ঞান ফেরে তখন তিনি হাসপাতালে।
তিনি বলেন, "আমি অজ্ঞান হয়ে যাই, শুনেছি পুলিশ আমাদের ওসমানি হাসপাতালে নিয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে হাসপাতালের ফ্লোরে দেখতে পাই এবং এরপর ১৮ দিন হাসপাতালে ছিলাম।
মুহিবুর রহমান বলেন, আমার ডান পায়ে স্প্রিন্টার ঢুকে যায়, যা পরে অপারেশন করে বের করতে হয়েছে। স্প্রিন্টার ঢুকে যায় আমার হাতে ও বুকেও।
তিনি বলেন যারা আহত হয়েছিলেন তাদের সবারই এমন করুণ দৃশ্য। জ্ঞান ফিরলে তিনি সেখানে তখন বহু মানুষের আহাজারি শুনতে পান। এখন এক যুগ পর ওই হামলার ঘটনার বিচার ও দায়ীদের ফাঁসি কার্যকরে সন্তোষ প্রকাশ করেন সিলেটের এই সাংবাদিক।
১৩ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস