নিউজ ডেস্ক : সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে রাতভর সংঘর্ঘ হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত ৯টা থেকে উপজেলার বালিয়াপাড়া ও হেমু হাউদপাড়া গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। এ সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকা। এ সংঘর্ষের সময় প্রায় ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হেমু বাজারে বালিয়াপাড়ার এক যুবকের জুতা কেনাকে কেন্দ্র করে হাউদপাড়ার জনৈক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার দিকে উভয় পক্ষ মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উভয় পক্ষ বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে অন্তত ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। ব্যাপক সংঘর্ষ ও অন্ধকারের কারণে আহতদের সংখ্যা নিরূপন সম্ভব হয়নি।
খবর পেয়ে প্রথমে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এলেও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। পরবর্তীতে সিলেট থেকে দাঙ্গা পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লেও দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামেনি বলে জানান স্থানীয়রা। পরে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ থামান।
মঙ্গলবার ভোরে ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে সংঘর্ষ থামানো হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আগামী বৃহস্পতিবার সালিশ বৈঠক করার জন্য দিন ধার্য্য করা হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে ১ কোটি টাকা জমা রেখে বিচার শুরু হবে। ইতোমধ্যে উভয় পক্ষ নগদ ১ লাখ করে জমা দিয়েছেন।’
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস