ভয়ঙ্কর এক স্ত্রীর অজানা রহস্য, এক কোপে দু’টুকরো
সিলেট : ভয়ঙ্কর এক স্ত্রীর অজানা রহস্য, যা শুনলে আপনার গা শিউরে উঠবে।
স্বামীকে গলা কেটে দু’টুকরো করে কাটা মাথা পুঁতে রাখেন গর্তে, আর দেহ ফেলে দেন জঙ্গলে।
এমন লোমহর্ষক কাণ্ড ঘটিয়েছেন সিলেটের এক স্ত্রী। শহরতলীর শাহপরাণ থানাধীন পীরের বাজারস্থ মোকামেরগুল এলাকায় এ খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত স্বামীর নাম আলী হোসেন। গতকাল সোমবার স্ত্রী পারভীনের করা জিডির সূত্র ধরেই পুলিশ আলী হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার সন্তানের জনক আলী হোসেন মোকামেরগুলে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছে পারভীন। নির্যাতন সইতে না পেরেই খুন করেছেন বলে জানান।
সিলেট মহানগরীর শাহপরান থানার দাশপাড়া এলাকার সুরুজ আলীর মেয়ে পারভীন আক্তারের তিন বছর আগে পাথর ব্যবসায়ী আলী হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। তিনি আলীর তৃতীয় স্ত্রী। আলীর অন্য দুই স্ত্রী জাফলংয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
পুলিশ জানায়, গত ৪ নভেম্বর ভোররাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই কোপে স্বামীর মাথা বিচ্ছিন্ন করেন স্ত্রী পারভীন। বিচ্ছিন্ন মাথাটি পার্শ্ববর্তী একটি টিলার গর্তে পুঁতে রাখেন তিনি। দেহ প্রথমে ঘরের মেঝেতে গর্তে পুঁতে রাখেন। পরদিন লাশ রশি দিয়ে টেনে জঙ্গলে ফেলে দেন।
জবানবন্দিতে পারভীন জানান, ঘটনার রাতে পারভীনের বাবাও বাসায় ছিলেন। বাবা সুরুজ আলীকে ঘুমের বড়ি খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখেন তিনি। তিনি স্বামীকে একাই খুন করেন।
এ ঘটনায় পারভীনের বাবা সুরুজ আলীকে আটক করলেও সোমবার রাতে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পারভীনের ঘর থেকে রক্তমাখা রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আলীর ছোট ভাই জমির হোসেন জানান, ৪ নভেম্বর থেকে তার ভাইয়ের খোঁজ পাচ্ছিলেন না তারা। অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ভাইয়ের বন্ধু পরিচয় দিয়ে এক লোক খুনের কথা জানান। এরপর শাহপরান থানায় ডায়েরি করা হয়। পরে পুলিশ সন্দেহজনক পারভীনকে আটক করে। পরে তার লাশ উদ্ধার হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, পারভীনের দেয়া তথ্য মতেই তার স্বামীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১০ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম