রাহিব ফয়ছল, সিলেট ব্যুরো (সিলেট): ‘আদিলকিলামি করইন, কোনো জায়গায় মিটিং মাটিং দেখলে তারা দেওয়ানা হইযায় আজান দেওয়ার লাগি। কেনে আজান দুই মিনিট আগে দিলো অখানর জওয়াব দিতে হইব। কেনে দুই মিনিট আগে আজান দিল, অনুষ্টান দেখলে দেওয়ানা হই যায়।’
সিলেটের বালাগঞ্জে বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠান চলাকালে পাশের মসজিদে আযান হওয়ায় এভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করেন বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া।
এ সময় তিনি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগে আযান হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার এই ক্ষোভ প্রকাশের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সমালোচনার ঝড় উঠে। এমনকি নিজ দলের নেতাকর্মীরাও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
ইতিমধ্যে আযান নিয়ে তার ক্ষোভ প্রকাশের ভিডিওটি দেশ-বিদেশে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্থানীয় নতুন বাজারে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও আলোচনা সভা চলছিল। সভা চলাকালিন সময়ে পাশের মসজিদে যোহরের আজান দেয়া হয়।
আযান শেষ হলে আনহার মিয়া মাইক হাতে নিয়ে আবার বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যেকোন জাতীয় অনুষ্টানে আজান দিয়ে বাধা দেয়া হয়। এর কারন হচ্ছে অনুষ্টানে বাধাঁ দেয়া। কোনো অনুষ্টান হলে এখানে আজানের প্রতিযোগীতা হয়। আমি মসজিদ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, কেন দুই মিনিট আগে আজান দেওয়া হলো আমি বুঝলামনা।’
এদিকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান মন্তব্যে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন দলটির নেতারা। তার এমন কার্যকলাপে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস