সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশ কনস্টেবলসহ ৩ জনের ফাঁসি
রাহিব ফয়ছল, সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেট বহুল আলোচিত শিশু আবু সাঈদকে অপহরনের পর হত্যাকান্ডের ঘটনায় সিলেট জেলা ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) নূরুল ইসলাম রাকিব, পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান ও আতাউর রহমান গেদাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ এক জনাকির্ণ আদালতেবহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেন। রায়ে মামলার অপর আসামী মাহিম আহমদ মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।রায় ঘোষনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবু সাঈদের পিতা মতিন মিয়া ৩জনের ফাঁসি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার মতো আর যেন কোন বাবার কোল খালি না হয়। এই রায় যতদ্রুত কার্যকর হবে, তত আমার ছেলের আত্মা শান্তিপাবে।
মাত্র ৯টি কার্য দিবসে এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। এ মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। গত ১৭নভেম্বর চার্জ গঠনের মাধ্যমে শিশু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর ২৬ নভেম্বর সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক মাসুদ, চার্জশিট দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসেন ও কনস্টেবল দিলোয়ার হোসেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ নগরীর শাহমীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়। অপহরণের তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোটা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায়চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।
৩০ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস
�