ফের পেছালো কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ
রাহিব ফয়ছল, সিলেট প্রতিনিধিঃ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আবারও সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। আজ বুধবার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও সাক্ষী না আসায় এবং পর্যাপ্ত আসামি আদালতে অনুপস্থিত থাকায় সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি।
সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর জানান, আজ আদালতে সাক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া আসামিদের মধ্যে মাত্র ৫ জন হাজির ছিলেন। এজন্য আদালতের বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য্য করেছেন আদালত।
কিশোর কুমার কর আরো জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর হরমুজ আলী ও শমসের মিয়া নামক দুইজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। ২৫ নভেম্বর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। গত ১৮ নভেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন ২ জন। ১৯ নভেম্বর হরতাল থাকায় আদালতে আসামি ও সাক্ষীরা হাজির হতে না পারায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। গত ১১ নভেম্বর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরদিন সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে যায়। গত ৫ নভেম্বর আবদুর রউফ ও এরফান আলী নামক দুইজন আদালতেসাক্ষ্য দেন। এরও আগে গত ৪ নভেম্বর এবং ২৮ ও ২৯ অক্টোবর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি উপস্থিত না থাকায় আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি।
গত ২১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন বাদিপক্ষ আদালতে স্বাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান। গত ২১ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন আবদুল মতিন, আবদুল কাইয়ুম ও ঈমান আলী।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ জেলা সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
২ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস
�