রাহিব ফয়ছল, সিলেট ব্যুরো (মৌলভীবাজার): সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ছাত্র ঘোরি মো. ওয়াসিম আহনাফকে (২৪) বাসচাপায় হত্যার ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা পুলিশের কাছে দিয়েছেন উদার পরিবহনের বাসের চালক ও তার সহকারী।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় উদার পরিবহনের বাসচালক জুয়েল আহমদ ও রাত ২টার দিকে সহকারী মাসুককে পৃথক স্থান থেকে আটক করে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ারুল হক জানান, মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে আটক করেছেন। আটকের পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।
চালক ও সহকারীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শনিবার (২৩ মার্চ) বিকালে নবীগঞ্জের টোল প্লাজা থেকে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র উদার পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-১৪:১২৮০) বাসে ওঠেন। এ সময় সহকারী মাসুক মিয়া তাদের কাছে ১০০ টাকা ভাড়া দাবি করেন। এ সময় ওয়াসিম ও তার বন্ধুরা ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভাড়া কম রাখার কথা বলেন। এতে সহকারী ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।
এক পর্যায়ে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে নেমে যান। নামার সময় পেছন থেকে বাসের সহকারী তাদের গালি দেন। এ সময় ওয়াসিম বাসের সিঁড়িতে উঠে হাতলে ধরে কেন গালি দিলেন তা জিজ্ঞেস করছিলেন সহকারীকে। এ সময় চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। ঠিক তখনই সহকারী মাসুক মিয়া ওয়াসিমকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। সাথে সাথে বাসের পেছনের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ওয়াসিম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
এ ঘটনার ব্যাপারে মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহামদ বলেন, ওয়াসিমের পরিবার মামলা করবে কি না তা নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে পরিবার মামলা করতে না চাইলে, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।