ইকরামুল কবির: সিলেট নগরীত বেশ কয়েকটি সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে মিউজিয়াম রয়েছে। যেমন: সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় পরিচালিত ওসমানী স্মৃতি জাদুঘর, হাসন রাজার উত্তরসূরি পরিচালিত মিউজিয়াম অব রাজাস, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের চতুর্থ তলায় ভাষা সৈনিক মতিন উদ্দিন স্মৃতি জাদুঘর, যার পরিচালকের দায়িত্বে আছেন ভাষা সৈনিক মতিন উদ্দিনের উত্তরসূরি ডা. মোস্তফা বাহার চৌধুরী, নগরীর সুবিদবাজারে রয়েছে মণিপুরি জাদুঘর। এই জাদুঘরগুলোতে ঐতিহ্য আর ম্মৃতি বিজড়িত কি কি নিদর্শন আছে তা সিলেট অঞ্চলের এক কোটি মানুষের ক'জন জানেন?
হয়তো বলবেন যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা'র মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ শেষে পুরাকীর্তি ও ঐতিহ্যের নিদর্শন দেখা যাবে। অবশ্য এমন কথা যৌক্তিক। আরেকটি প্রশ্নের জবাব জানতে খুব ইচ্ছে করছে। তা হচ্ছে, যে ক'টি মিউজিয়াম রয়েছে তাতে প্রতিদিন দর্শনার্থী সংখ্যা কতো?
সম্প্রতি কয়েকজন দাবি জানাচ্ছেন, সিলেট নগরীতে হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা নেই। ওসমানী মেডিকেল কলেজের আবুসিনা ছাত্রাবাসের বিশাল জায়গায় যেখানে ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮তলা বিশিষ্ট আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ২৫০ শয্যার সিলেট জেলা হাসপাতাল নির্মাণ কাজ চলছে, তার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন মিউজিয়ামের।
এবার মিউজিয়াম আর পুরাকীর্তি প্রেমিদের জন্য সিলেট নগরীতে হাসপাতালের প্রয়োজনীতার বিষয়টি অবগত করতে চাচ্ছি।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৫০০ থেকে ৯০০ শয্যায় উন্নতি করেও রক্ষা হচ্ছে না। প্রতিদিন গড়ে ২২শ'র মতো রোগী ভর্তি থাকেন। মেঝে বারান্দায়ও জায়গা হয়না রোগীর।
চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা দিতে। ব্যাহত হচ্ছে মানসম্পন্ন চিকিৎসা। শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালের স্থলে শিশু হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। তাহলে, রোগীরা কোথায় যাবে? তাহলে মিউজিয়াম প্রেমিরা ভেবে দেখবেন কী চিকিৎসা আগে না বিনোদন আগে?
লেখক: ব্যুরো প্রধান (সিলেট), সময় টেলিভিশন ও সভাপতি, সিলেট প্রেসক্লাব।