সিলেট থেকে : ভারতের এক নারী প্রেমের টানে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। এরই জেরে বাংলাদেশের এক যুবক ও শতাধিক গরু ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় খাসিয়ারা। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।
উভয় পাশেই এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি নতুন করে গরু বা মানুষ অপহরণ ঠেকাতে সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার টিপরাখলা সীমান্তের বাসিন্দা হারিছ উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ মিয়া প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে শনিবার ভারতের সীমান্তবর্তী এসপিটিলা এলাকার হেওয়াইবস্তির খাসিয়া সম্প্রদায়ের গৃহবধূ চংকর খাসিয়াকে গোপনে দেশে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক হয়। সেদিনের বৈঠকে দুইদিনের মধ্যে ভারতীয় নারীকে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেয় বিজিবি। কিন্তু ফিরোজসহ ওই নারী আত্মগোপনে থাকায় বিজিবি তাদের খুঁজে পায়নি।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ১২৮৮নম্বর আন্তর্জাতিক পিলার এলাকা দিয়ে ভারতীয় হেওয়াই বস্তির খাসিয়ারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে টিপরাখলা গ্রামের তজম্মুল আলীর ছেলে আব্দুন নুরকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় হাওর থেকে শতাধিক গরু ধরে নিয়ে সীমান্তের ওপারে চলে যায় খাসিয়ারা।
এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ১৯ বিজিবির জৈন্তাপুর ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির, নিজপাট ইউপির সদস্য মনসুর আহমদ, আব্দুল হালিম। এরপর থেকে সীমান্তে দু-দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
১৯ বিজিবির জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির বলেন, গত শনিবারের ঘটনার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের মধ্যস্থতায় খাসিয়াদের সঙ্গে আলাপ করে দুইদিনের মধ্যে ভারতীয় নারীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেই। তারা আমাদের কথা আমলে নেয়। কিন্তু ফিরোজের পরিবার আমাদের কথা না রাখায় ভারতীয় খাসিয়ারা উত্তেজিত হয়ে বাংলাদেশে সীমান্তে প্রবেশ করে আব্দুন নুরসহ বেশ কিছু গরু ধরে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। খাসিয়ারা যাতে আর বাংলাদেশিদের গরু ধরে নিতে না পারে সে জন্য সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।