নিউজ ডেস্ক : মাকে বাড়ী নিয়ে যাওয়া হলোনা মোজাক্কির হোসেনের। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী আইনগাঁও সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে মা মোবাইল ফোনে জানান আইনগাঁও থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মায়ের কথা মতো একটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে আইনগাঁও যান পুত্র মুজাক্কির। সেখান থেকে নিজ বাড়ি গজনাইপুরের ফিরছিলেন মা-পুত্র। পথিমধ্যে দ্রুতগতির বেপরোয়া অজ্ঞাত বাসের চাপায় দুম'ড়ে-মুছ'ড়ে যায় তাদের বহনকারী সিএনজিটি। কিন্তু মা বাড়ি ফিরলেও তাঁর প্রিয় সন্তান হাফেজ মোজাক্কির হোসেন ফিরেছেন লা'শ হয়ে। এ ঘটনায় হ'তভ'ম্ব দিনারপুরবাসী।
নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের গজনাইপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মোবাশ্বির হোসেনের পুত্র মোজাক্কির হোসেন প্রায় দুই বছর পূর্বে স্থানীয় গজনাইপুর জামেয়া ইসলামীয়া ফুরকানিয়া মাদ্রাসা থেকে কোরআনে হাফেজ হিসেবে সনদপত্র গ্রহণ করেন। জনতার বাজারে তাঁর একটি লাইব্রেরি ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার ও তার পরিবারের।
শুক্রবার বিকেলে মাকে নিয়ে সিএনজি যোগে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার জনতার বাজার নামক স্থানে দ্রুতগতির বেপরোয়া অজ্ঞাত বাসের চাপায় দু'মড়ে-মুছ'ড়ে যায় তাদের বহনকারী সিএনজিটি। এতে গুরুতর আহ'ত হন হাফেজ মোজাক্কির হোসেন (২২)। দ্রুত তাকে নেয়া হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের বেডে চিরনিদ্রায় চলে যান হাফেজ মোজাক্কির।
এদিকে তাঁর মৃ'ত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দিনারপুরে নেমে আসে শো'কের ছায়া। রাত সাড়ে ৯ টায় মোজাক্কির এর মরদেহ নিয়ে লা'শবাহী এ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে পৌঁছালে এক হৃ'দয়বৃ'দারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।