সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগ চরমে
রাহিব ফয়ছল, সিলেট প্রতিনিধিঃ অষ্টম বেতন স্কেলে ব্যাপক বৈষম্যের প্রতিবাদে প্রকৃচি-বিসিএস ও ২৬ ক্যাডারসমম্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে ঘোষিত ১০ দিনের কর্মসূটির সপ্তম দিনে সোমবার সারা দেশের সরকারী হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসকগণ কর্মবিরতিতে নেমেছেন। এরই সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকগণ কাল ব্যাজ ধারণ করা ছাড়াও বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন।
এসময় হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ছাড়া বর্হিবিভাগের সকল সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়েছিল। এতে সাধারণ রোগীরা দূর্ভোগে পড়েন।
আজ সোমবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে কর্মবিরতি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রকৃচি-বিসিএস ও ২৬ ক্যাডার সমম্বয়নকমিটির বিভাগীয় সভাপতি ডা. রুকুন উদ্দিন আহমদ সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. আজিজুর রহমান রুমান’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রকৃচি-বিসিএস ও ২৬ ক্যাডার সমম্বয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আবু আব্দুল্লাহ মুকুল, সদস্য ডা. সুব্রত রায়, ডা. মুহাম্মদ রেজাউল কবির, ডা. এনামুল হক, ডা. রেজাউল ইসলাম মোনায়েম, ডা. জালাল আহমদ চৌধুরী, ডা. সুবল জ্যোতিকেনা, ডা. দেবরাজ চক্রবর্তী, ডা. চৌধুরী গোলশান আরা, ডা. মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।
বর্হি:বিভাগের প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন স্তরের সরকারীচাকরিজীবীদের অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অষ্টম বেতন স্কেলের গেজেট প্রকাশ করা হলে বেতন বৃদ্ধির আনন্দের পরিবর্তে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্যের কারণে সর্বস্তরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সরকারী চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশ এইপে স্কেলকে স্বাগত জানায়নি। তাদের মতে এই স্কেলে তাদের দাবী পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি। সেই সাথে তাদের পদমর্যাদার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
আন্দোলনকারি চিকিৎসকরা জানান, ৭ দফা দাবী পূরণ করতে কালোব্যাজ ধারণ ও ২৭ ডিসেম্বর রবিবার থেকে ৩০ ডিসেম্বর বুধবার পর্যন্ত ১ ঘন্টার কর্ম বিরতির ২য় দিনে কর্মসূচিতে বক্তারা দাবী আদায় না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুশিয়ারি দেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারচাকরিজীবীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই বেতন স্কেল প্রবর্তন করেছেন। কিন্ত এতে প্রশাসন ক্যাডার ব্যাতীত অন্যান্য ক্যাডারের চাকরিজীবীরা খুব একটা লাভবান হননি। এই চলমান আন্দোলন সকল চাকরিজীবীর অসন্তোষ ঘুচিয়ে, আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য দূরী করণে সরকারকে উজ্জীবিত করবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস
�