সিলেট : সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে বসবাসরত নিম্নমধ্যবিত্ত যেসব পরিবার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন তাদের একমাসের ভাড়াও মওকুফ করার জন্য বাড়িওয়ালাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি জানান, বাড়িওয়ালারা যদি একমাসের ভাড়া মওকুফ করেন তাহলে সিটি করপোরেশন তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মাসের পানির বিল মওকুফ করবে। আর কেউ যদি এই দুর্দিনে মানুষের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেন তাহলে নেওয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা।
রবিবার (২৯ মার্চ) এসব বিষয় নিশ্চিত করেন তিনি। মেয়র আরিফ বলেন, বাসার মালিকরা যদি একমাসের ভাড়া মওকুফ করেন তাহলে সিটি করপোরেশন তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মাসের পানির বিল মওকুফ করবে।
আর কেউ যদি এই দুর্দিনে মানুষের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেন তাহলে পরবর্তীতে সিটি করপোরেশন ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। কোন বাসার মালিক পুরো ভাড়া আদায় করলেন সে তথ্য নেওয়া হবে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখার পর নেওয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা।
মেয়র আরিফ বলেন, এই মুহূর্তে সবার উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে গরিব, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা যদি বস্তিবাসী ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাসের ভাড়া মওকুফ করি তাহলে এই দুর্দিনে কিছুটা হলেও তারা স্বস্তি পাবেন। সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে শ্রমজীবী অসহায় মানুষের জন্য খাদ্য ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ফান্ডে নিজের একমা
সের সম্মানী ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, করপোরেশনের বিভিন্ন কাউন্সিলরও তাদের সম্মানীর একটি অংশ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সিসিক সূত্র জানায়, কাউন্সিলরদের কাছ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত কলোনির তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো সিসিকের পক্ষ থেকে যাচাই-বাছাই করার জন্য কয়েকটি ভাগে কাজ করছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যারা অতিরিক্ত পরিবারের কথা উল্লেখ করে করপোরেশনে দাখিল করেছেন তারা এক্ষেত্রে সহায়তা নাও পেতে পারেন। সরকারি বরাদ্দ চেয়ে ইতোমধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সিসিকের মেয়র ও কাউন্সিলররা। এসময় তারা জেলা প্রশাসকের কাছে ৬শ ৬০ মেট্রিক টন চাল দেওয়ার অনুরোধ জানান। আর বাকি সব নিত্যপণ্য সিসিকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে প্রায় ৬০ হাজারের মতো বস্তি রয়েছে। আর এইসব বস্তিতে গড়ে প্রতি পরিবারের রয়েছেন ৪ জন সদস্য। সেই হিসেবে শুধু বস্তিতে প্রায় আড়াই লাখের বেশি বাসিন্দা আছেন। এগুলোতে শুধু নিম্নআয়ের মানুষ বসবাস করেন। তাদেরকে ৭ দিনের খাবার সরবরাহ করার জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। এমনকি আমরা জেলা প্রশাসকের কাছেও আবেদন জানিয়েছি।-বাংলা ট্রিবিউন