সিলেট থেকে : মহামা'রী করোনা ভাইরাসের প্রাদু'র্ভাব দেখা দিয়েছে বাংলাদেশেও। তা প্রতিরো'ধে সারাদেশে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে শ্রীমঙ্গলেও সচেতনতার পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে স্থানীয় র্যাব। যার মাধ্যমে স্থানীয়সহ দেশবাসীর অকুণ্ঠ প্রশংসা কুড়িয়েছে বাহিনীটি এবং এর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।
এ বিষয়ে আজ ২০ এপ্রিল নিজের ফেসবুক পেইজে এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম ওরফে শামিম আনোয়ার মাথায় চালের বস্তাসহ একটি ছবি দিয়ে 'নিজে কেন বহন করি' শিরোনামে একটি লেখা পোস্ট করেন। পোস্টটি এমটিনিউজের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধ'রা হলো:
''হাতে/কাঁধে/মাথায় খাদ্যসামগ্রীর বস্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে যোগাযোগ ব্যবস্থাহী'ন দু'র্গম অঞ্চলের প্রকৃত ক্ষু'ধার্ত মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া- গত বেশ কিছুদিন ধ'রেই আমরা শ্রীমঙ্গল র্যাব ক্যাম্প পরিবার মোটামুটি পরিশ্রমসাধ্য এই কাজটি করে চলেছি। অনেকেই জানতে চান, আমি একজন বিসিএস ক্যাডার অফিসার এবং র্যাবের কমান্ডার হওয়া সত্ত্বেও খাদ্যসামগ্রীর বস্তা নিজে বহন করি কেন? বোঝা নেওয়ার জন্য নিচের র্যাংকের লোকজন তো আছেই। আসলে এক্ষেত্রে আমার ভাবনাটা একটু ভিন্ন। আমি যদি আমার অধীনস্থ র্যাব সদস্যদেরকে বোঝা বহন করবার আদেশ দিয়ে নিজে খালি হাতে হাঁটতাম, তাহলে তারা হয়তো আমাকে স্বার্থপর একজন নেতা হিসেবেই চি'হ্নিত করতো, যা তাদের কর্মস্পৃহা ও মনোবলকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতো নিশ্চিত।
তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে অধস্ত'নদের সমান ভার নেওয়া, চাল-ডালের বস্তা মাথায়/হাতে নিয়ে সবার সামনে সামনে চলাই আমার নেতৃত্ব দানের স্টাইল। কাঁধের র্যাংক দেখে নয়, কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ হোক এখানে কমান্ডার কোন জন। অফিসাররা বোঝা মাথায় নিলে জাত চলে যাবে, বোঝা বহন করা শুধু নিচের র্যাংকের লোকদের কাজ- এমন অমা'নবিক ও মধ্যযুগীয় চিন্তাধা'রা করোনা ভাইরাসের সাথে সাথে পৃথিবী থেকে বিদায় হোক।''