সিলেট থেকে : চাচি ও তার পরকীয়া প্রেমিকের অ'বৈধ মেলামেশা দেখে ফেলায় তিন বছরের শিশু সাহেল আহমদ সোহেলকে নি'র্ম'মভাবে খু'ন করা হয়। সোমবার (০৮ জুন) বিকেলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৫ম) আদালতের বিচারক নওরিন করিমের এজলাসে হ'ত্যাকা'ণ্ডের কথা স্বী'কার করে খু'নের বিবরণ দেন নিহ'ত সোহেলের চাচি সুরমা বেগম (৩৮)।
একই সঙ্গে পর'কীয়া প্রেমিক নাহিদুল ইসলাম ইব্রাহিম (৩০) আদালতে স্বী'কারো'ক্তি দিতে স্বী'কার করায় তাকে চারদিনের রিমা'ন্ডে নিয়েছে পুলিশ। রোববার (০৭ জুন) সকালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের উত্তর আকাখাজনা গ্রামে চাচির অ'বৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলায় সোহেলকে হ'ত্যা করে পর'কীয়া প্রেমিক নাহিদুল ও চাচি সুরমা বেগম। এরপর ম'রদেহ ড্রামে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে লু'কিয়ে রাখেন তারা।
এ ঘটনার পর সোহেলকে কোথাও খুঁ'জে পাওয়া যায়নি। মসজিদের মাইকেও তার খোঁ'জে প্রচারণা চালানো হয়। এ সময় চাচি সুরমা বেগম তার ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখাসহ র'হস্যজনক আ'চরণ করতে থাকেন। এতে নিহ'ত শিশুর বাবাসহ এলাকার লোকজনের স'ন্দে'হ হলে চাচির ঘরে ত'ল্লা'শি শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে সুরমা বেগমের বাথরুমের ড্রামের ভেতর কম্বল দিয়ে মোড়ানো শিশু সোহেলের নি'থর দেহ পাওয়া যায়।
এ ঘ'টনায় জড়িত থাকার অভি'যোগে রোববার সন্ধ্যায় চাচি সুরমা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক নাহিদুল ইসলাম ইব্রাহিমকে গ্রে'ফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর মধ্যে চাচি সুরমা বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বী'কারো'ক্তিমূলক জ'বানব'ন্দি দেন।
জবানবন্দিতে চাচি সুরমা বেগম বলেন, রোববার সকাল ৬টার দিকে সোহেল ও তার ভাই আরিফ আম কুড়ানোর জন্য চাচি সুরমা বেগমের ঘরের সামনে যায়। আম কুড়ানো শেষে চাচির ঘরের ভেতরে প্রবেশ করলে নাহিদুল ও সুরমা বেগমের অনৈ'তিক মেলামেশা দেখে চিৎকার শুরু করে। তখন প্রেমিক নাহিদুলের নির্দে'শে চাচি সুরমা বেগম গাছের ডাল দিয়ে শিশুর মাথায় আঘা'ত করলে অ'জ্ঞা'ন হয়ে মাটিতে লু'টিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে চাচি ও তার প্রেমিক ওই শিশুর নাক-মুখ চেপে ধ'রে শ্বাসরো'ধে বাথরুমের ড্রামে ঢুকিয়ে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখে।
এদিকে, আদালতে স্বী'কারো'ক্তি না দেয়ায় মামলার তদ'ন্ত কর্মকর্তা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন উর রশিদ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৫ম) আদালতে ইব্রাহিমকে জিজ্ঞা'সাবা'দের জন্য পাঁচদিনের রিমা'ন্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে নাহিদুলের চারদিনের রিমা'ন্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এসব তথ্য নি'শ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া অফিসার ও ডিবি পুলিশের ওসি সাইফুল আলম। তিনি বলেন, স্বী'কারো'ক্তিমূলক জ'বানব'ন্দি দেয়ায় সুরমা বেগমকে জেলহা'জতে ও তার পর'কীয়া প্রেমিককে চারদিনের রিমা'ন্ডে নেয়া হয়েছে। এ ঘ'টনায় নিহ'ত সোহেলের বাবা খসরু মিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার থানায় হ'ত্যা মামলা করেন।