সিলেট থেকে : সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুরারিচাঁদ কলেজ (এমসি) ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের দুই মাস ৮ দিনের মাথায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় গ্রেফতার আট ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বহুল আলোচিত এ গণধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরের শাহপরাণ (রহ.) থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। এর আগেই বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এ ঘটনায় করা মামলায় আট আসামি ছাত্রলীগের সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, মাইফুজুর রহমান মাসুম, রাজন ও আইনুল কারাগারে রয়েছে। এর আগে ২৯ নভেম্বর দুই মাস পর আসামিদের ডিএনএ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে ধর্ষণের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে বলে জানানো হয়।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের ভেতরে একটি রাস্তায় প্রাইভেটকারের মধ্যেই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে ওইদিন রাতেই মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানায় নির্যাতিতা নারীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেন।
এ মামলায় আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। পুলিশ ও র্যাব ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ আটজনকে গ্রেফতার করে। ১ ও ৩ অক্টোবর আট আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ঢাকার ল্যাবে। ডিএনএর পরীক্ষার প্রতিবেদন গত রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতে পৌঁছায়।