মোবাইল ফোনে রং নাম্বারে পরিচয় তারপর পরকীয়া, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরগঞ্জের এক গৃহবধূকে (২৫) সিলেটে এনে ৯ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার সিলেট নগরীর বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এদিেক সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মোবাইল ফোনে রং নাম্বারে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার এক গৃহবধূর সঙ্গে পরিচয় হয় সিলেট এয়ারপোর্ট থানার লাউগুল গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে জামেদ আহমদ জাবেদের (৩৬)।
পরে তাদের মাঝে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূকে বিয়ে ও তার দুই সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করবেন, এই প্রলোভন দেখান জাবেদ। অবশেষে গত ১০ জুলাই ভিকটিমকে ফুসলিয়ে সিলেট নিয়ে আসেন তিনি।
গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ সিলেটে এলে, তাকে এয়ারপোর্ট থানার খাদিমনগর ইউনিয়নে বুরজান চা-বাগানের সুন্দর মরাকোণা টিলার ওপর একটি ছাউনিতে নিয়ে যান জাবেদ। সেখানেই আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জাবেদের সহযোগী এয়ারপোর্ট থানার ফড়িংউরা গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে ফয়সল আহমদ (২২), বাজারতল গ্রামের ইসরা হালিমের ছেলে রাসেল আহমদ (২৪) ও সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শুক্কুরের বাজার এলাকার জামিল আহমদ (২২)- এই চারজন মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের পরও ওই গৃহবধূকে আটকে রাখেন জাবেদ ও তার সহযোগীরা। দুই দিন আটকে রাখার পর ১৩ জুলাই ভোরে ঘটনাস্থলে যান জাবেদের আরও ৫ সহযোগী। তারা হলেন- এয়ারপোর্ট থানার ফড়িংউরা গ্রামের মুজিবুরের ছেলে রুবেল (২৫), কামাল উদ্দিনের ছেলে ইমাম (২৫), ইশরাক আলীর ছেলে ফারুক (২৩), মৃত ফুল মিয়ার ছেলে মো. মোশাহিদ আহমদ (২৭) ও জামালের ছেলে আবুল (২৬)। পরে এই ৫ জনও ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
তাদের ধর্ষণের পর মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ওই গৃহবধূ কৌশল করে সেখান থেকে পালিয়ে এসে এক পথচারীর মাধ্যমে পুলিশে খবর নেন। এরপর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ভিকটিমের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে, তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে জাবেদ ও মো. মোশাহিদ আহমদকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফয়সল আহমদ ও রাসেল আহমদকে গ্রেফতার করে।
ভিকটিমকে সিলেট এম এ জি ওসমনী মেডিকেল হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। আর গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।