সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের ফলাফলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার সন্ধ্যার পর বৈটিকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আবদুস সালাম। তিনি বৈটিকর বাজারের একটি রিকশার গ্যারেজে মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। সালামের বাড়ি গোলাপগঞ্জের লক্ষীপাশা ইউনিয়নের রামপা গ্রামে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মুস্তাফিজুর রব। সচিবের বাড়িও রামপা গ্রামে। সালামের মরদেহ বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
জানা যায়, রবিবার গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৮টার দিকে ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রের ফলাফলকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা এমরান হোসেনের লোকজন বৈটিকর বাজারে এসে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় পুলিশ এসে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে এমরান হোসেনের সমর্থকদের তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ টিয়ার সেল ও গুলি নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষকালে বৈটিকর বাজারের একটি রিকশার গ্যাজের মেকানিক আবদুস সালাম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সালামের বুক ও পেটে ছররা গুলির অসংখ্য চিহ্ন দেখা গেছে।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হন বলে স্থানীয়রা জানান। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাবের একাধিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
সংঘর্ষের সময় বৈটিকরের দুপাশে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ। সংঘর্ষের পরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।