সিলেটে বান্ধবীর ফাঁদে পা দিয়ে সম্ভ্রম হারাতে বসেছিলেন সিলেটের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রী। উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার কারণে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেয়েছেন তিনি। বাসায় ডেকে নিয়ে প্রবাসী চাচাতো ভাইয়ের হাতে ওই ছাত্রীকে তুলে দিতে চেয়েছিল তার বান্ধবী। গতকাল বুধবার রাতে সিলেট নগরীর একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই আটক দুইজনকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার তরুণী সোনিয়া বেগম তার প্রবাসী চাচাতো ভাই আবদুল হাই (৩৮) এর হাতে কৌশলে ওই ছাত্রীকে তুলে দেন। গত বুধবার সোনিয়া ওই ছাত্রীকে জানান, তার চাচা-চাচী যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিলেটে এসেছেন। নগরীর একটি বাসায় তারা থাকছেন। তাদের বাসায় সোনিয়া বুধবার রাতে থাকবেন। বান্ধবীকেও তার সঙ্গে থাকতে জোর খাটান। বান্ধবীর আবদারে তার সঙ্গে ওই বাসায় যান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ওই ছাত্রী।
কিন্তু বাসায় গিয়ে দেখেন, সেখানে চাচা-চাচী নন, আছেন ওই বান্ধবীর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চাচাতো ভাই। কিছুক্ষণ পর ওই প্রবাসী আবু আহমদ নামে তার এক খালাতো ভাইকে বাসায় ডেকে আনেন। পরে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এক কক্ষে প্রবাসী ও তার খালাতো ভাই ওই ছাত্রীকে ধ'র্ষণের চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে ছাত্রীটি দৌড়ে ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে তিনি মুঠোফোনে বিষয়টি তার এক ছেলে সহপাঠীকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীর বান্ধবী সোনিয়া ও প্রবাসীর খালাতো ভাই আবু আহমদকে গ্রেফতার করে। তবে সোনিয়ার প্রবাসী চাচাতো ভাই আবদুল হাই পালিয়ে যায়। সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সোনিয়া তার বান্ধবীকে বাসায় নিয়ে দুই যুবকের হাতে তুলে দিয়েছিল। সোনিয়া যে প্রবাসীকে তার চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়েছে সেও তার আপন চাচাতো ভাই নয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।