রাহিব ফয়ছল, সিলেট প্রতিনিধিঃ হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণ শুরুর পাশাপাশি সরকার এবার ইলেকট্রনিক্স সিটি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এই ইলেকট্রনিক্স সিটিতে তৈরি করা হবে ইলেকট্রনিক পণ্য ও যন্ত্রাংশ। দেশের চাহিদা মিটিয়ে তা বিদেশে রফতানির উদ্যোগও নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ দেশে এমনই একটি সিটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক্স সিটি তৈরি হচ্ছে।
সূত্র জানায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৬২ একর জমিতে সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি প্রতিষ্ঠার জন্য আইসিটি বিভাগ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ দশমিক ১৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে না। সেক্ষেত্রে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। বাড়তে পারে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থও।
তবে সংশ্লিষ্টরা এ-ও বলছেন, বর্তমানে ওই প্রকল্পে ১৮০ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন এখন প্রক্রিয়াধীন। এরই মধ্যে ইলেকট্রনিক্স সিটি প্রকল্পে প্রায় ৭ কোটি টাকার কাজ শেষ হয়েছে।
ইলেকট্রনিক্স সিটি প্রকল্পে ৩ ধরনের সুবিধা থাকবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আইসিটি পার্ক এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্রকল্প।
চলতি মাসে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিলেটের ইলেকট্রনিক্স সিটি প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে অলোচনা হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে মনিটরিং করা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ।
ইলেকট্রনিক্স সিটি প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রকল্পে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
তাহলে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ কিভাবে শেষ হবে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও ৬ মাস বাকি আছে। এই সময়টা আগে পূর্ণ হোক, তারপর না হয় বর্ধিত সময়ের ব্যাপারে আলাপ করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, ইলেকট্রনিক্স সিটিতে ইলেকট্রনিক পণ্যের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। এছাড়া, সেখানে ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং আইসিটি পার্ক ইত্যাদি তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি সেখানে বিপুলসংখ্যক জনবলের কর্মসংস্থান হবে।
১৭ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস