রাহিব ফয়ছল, সিলেট প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, মানুষের জন্য পুরস্কার নিয়ে ক্ষমতায় আসে। বিএনপি-জামায়াত মানুষের জন্য, দেশের জন্য তিরস্কার বয়ে আনে।
বাঙালি জাতি অদম্য জাতি। বাঙালি জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের উন্নয়ন করেছি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়। আমরা দেশের উন্নয়ন, মানুষের উন্নয়ন করেছি। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি বলেন, সিলেট বিভাগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় অহরহ বোমা হামলা হতো। সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের উপর হামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগনেতা ইব্রাহিমকে হত্যা করা হয়েছে। সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা করা হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতের আমল ছিল সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের আমল, এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের আমল হচ্ছে উন্নয়ন ও সুশাসনের আমল।তিনি বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেও বিএনপি-জামায়াত ক্ষান্ত দেয়নি। তারা নির্বাচন বানচালের নামে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। খালেদার প্রতিহিংসা থেকে সাধারণ মানুষও রেহাই পায়নি। ‘তাদের ক্ষমা নেই’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেখানে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে, সেখানেই মামলা হয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে মারার দায়ে তাদের সবার বিচারহবে। প্রত্যেকের বিচার করা হবে।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে বাংলাদেশ বিমানে লুটপাট করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান ছিল মরা লাশ। আমরা বিমানে প্রাণের সঞ্চার করেছি।
এর আগে প্রধনমন্ত্রী শাবির এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইসিইটি ভবন, আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স, জৈন্তাপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, সিলেট এপিবিএন ব্যারাক ও ওসমানী থানা ভবন, খাদিমপাড়া হাসপাতাল, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ সামসুদ্দীন শিশু হাসপাতাল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি ভ বন উদ্বোধন করেন। তাছাড়া সিলেট আউটার স্টেডিয়াম, নারী পুলিশ ডরমেটরি ভবনের উর্ধ্বমুখী কাজের স¤প্রসারণ, শাহপরাণ থানা ভবন, সিলেট জেলা ও বিভাগীয় এনএসআই কার্যালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয়, তামাবিল স্থলবন্দর, সিলেট ইলেকট্রনিক সিটিসহ কয়েকটি রাস্তার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
২১ জানুয়ারি, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন