এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে জয়ী হতে ভোটারদের টাকা দিয়েছিলেন প্রার্থী এম মুজিবুর রহমান। কিন্তু পরাজিত হওয়ার পর ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চেয়ে না পেয়ে রোববার ওই ভোটারদের আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে মামলা করেছেন তিনি। মামলায় ৬৬ জন জনপ্রতিনিধিকে আসামি করা হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান পেশায় একজন আইনজীবী। ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন আসামিরা (৬৬ জন জনপ্রতিনিধি) তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এখন টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করছেন।
বাদীর আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। আসামিরা হলেন- মইজ উদ্দিন বলাই, রাসেল আহমদ নাজির, তারেক আহমদ, হোসেন আহমদ খোকা, মোস্তাক আহমদ, হযরত আলী, আফিয়া বেগম, লাইলী বেগম, রুনা আক্তার নাদিয়া, শাহেনা আক্তার, ফাহেল আহমদ, সুবোধ চন্দ্র দাস, শাহাব উদ্দিন ইরান, আফিয়া বেগম, আব্দুল কাইয়ুম, কবির আহমদ, আবুল কাশেম, সুমি বেগম, মুজিবুর রহমান দুলাল, শামীম আহমদ, রেজাউল করিম রাজু, কয়েছ আহমদ, আয়ারুন নেছা, উস্তার আলী, পাপিয়া বেগম, আব্দুল মুমিত, মিজানুর রহমান, আলা উদ্দিন, দিলবি বেগম, স্বপ্না বেগম, আবদুল হক, রত্না রানী দাস, ফারুক মাহমুদ, আব্দুল হাকিম পারভেজ, ফলিক উদ্দিন, জোছনা বেগম, সাফিয়া বেগম, রেখা বেগম, দিলারা বেগম, জায়দা বেগম, মুজিবুর রহমান মল্লিক, জালাল উদ্দিন, বেলাল আহমদ, চুনু মিয়া, এমএ আহাদ, আফছারুন নেছা, মিনা বেগম, জামিল আহমদ, শেফা বেগম, আনোয়ার হোসেন আনু, ইমাম উদ্দিন কানাই, দেলোয়ার হোসেন, জাহেদ আহমদ, আবুল হোসেন, পিয়ারা বেগম, বিভা রানী দাশ, শাপলা আক্তার, মোহাম্মদ কবিরুল ইসলাম, শামীম আহমদ, কামরান হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, বুদু মিয়া, ফয়ছল আহমদ, ছালেহা বেগম, রাজিয়া সুলতানা ও ছালমা খানম। তারা সবাই গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
জানা যায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার শর্তে নিজ নির্বাচনি এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের ৬৬ জন সদস্যকে টাকা দেন মজিবুর রহমান। কিন্তু নির্বাচনে তিনি ভোট পান ৩১টি। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তিনি। তবে মামলার বিবরণে ভোট দেওয়ার শর্তে টাকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এ ব্যাপারে এম মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আসামিদের টাকা ফেরত দেওয়ার শর্ত দিয়েছিলাম।