শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০২:১৬:৪৪

সিলেটে আসামি ধরতে বিয়ের আসরে পুলিশ!

সিলেটে আসামি ধরতে বিয়ের আসরে পুলিশ!

সিলেট থেকে : সিলেটে মামলার বাদীকে অপহরণ করতে গিয়ে বরযাত্রীদের বাধার মুখে সরে গেছে পুলিশ ও আসামিরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর পাটানটুলার বৈরাতি কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা। নগরীর মিরাবাজারের রাসেল আহমদের সঙ্গে স্ত্রী তাহমিনা রশীদ খানের দাম্পত্য বিরোধ রয়েছে।

তাহমিনা রশিদ খান নগরীর চৌকিদেখী রংধনু ১৬৩নং বাসার খায়র হারুনুর রশিদের মেয়ে। বিরোধের জের ধরে ১লা জানুয়ারি রাসেলকে জিন্দাবার আল-হামলা শপিংসিটির সামনে থেকে গাড়িতে তুলে অপহরণ করে তাহমিনার ভাই রুমানুর রশিদ খান মুন্না ও তার সহযোগীরা। স্থানীয় লোকজন চৌহাট্টা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় অপহৃত রাসেল বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় রুমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় পলাতক রুমান বৃহস্পতিবার পুলিশের সহায়তায় ফের রাসেলকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। রাসেল ওইদিন সন্ধ্যায় নগরীর পাটানটুলাস্থ বৈরাতি কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন।

এ সময় রুমান দুটি নোহা গাড়ি করে ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী নিয়ে সেন্টারে প্রবেশ করে। পাশাপশি এসএমপির শাহপরান থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একদল পুলিশও সেন্টারে গিয়ে রাসেলকে ধরে আনতে চায়। এ সময় বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকা বরযাত্রী ও কনে পক্ষের লোকজন প্রশ্ন করলে পুলিশ জানায়, রাসেলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে।

কিন্তু ওয়ারেন্ট বা মামলার কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি তারা। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বরযাত্রীরা। তারা বাধা প্রদান করলে পুলিশ চলে যায়। শাহপরাণ থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন জানান, এসআই আব্দুর রাজ্জাক ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে জালালাবাদ থানাধীন পাঠানটুলায় অভিযানে গিয়েছিলেন বলে তাকে জানিয়েছেন। তবে কার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল তা তাকে জানাননি।

জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন জানান, ওয়্যারলেস বার্তায় তাকে জানিয়ে ওয়ারেন্টি আসামি ধরতে শহপরান থানার একদল পুলিশ পাঠানটুলায় গিয়েছিল। তবে কোনো আসামি ধরতে পেরেছে কিনা তা তার জানা নেই। -মানবজমিন
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে