মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৩:৩৬:১৭

দুর্ধর্ষ কিলার ভাবি!

দুর্ধর্ষ কিলার ভাবি!

সিলেট : দুর্ধর্ষ কিলার ভাবি, ৭ বছরের ননদকে খুনের পর বস্তাবন্দি করে টয়লেটের স্ল্যাপ ফেলে দেন।  ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার আশিঘর গ্রামে।  ২য় শ্রেণিতে পড়ুয়া ৭ বছরের ননদ তাহমিনা বেগমকে খুন করেছে তারই আপন ভাবি রুবিনা বেগম (২২)।

তাহমিনা ওই গ্রামের মতই মিয়ার মেয়ে।  

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার আশিঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণিতে পড়তো তাহমিনা।  সোমবার স্কুল ছুটির পর সে বাড়ি না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় মাইকিং করা হয়।

মাইকিংয়ে তাহমিনার নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পেরে তার এক বান্ধবী জানান, তাহমিনা পানি পান করতে তার ভাবি রুবিনার বাড়িতে গিয়েছিল। পরে এ ব্যাপারে রুবিনাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এলোমেলো কথা বলতে থাকেন।  তার আচরণ সন্দেহজনক হলে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মধ্যরাতে (সোমবার দিবাগত রাত) ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মীর নাসিরের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুবিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।  একপর্যায়ে তার বাড়ির টয়লেটের স্ল্যাপ ভাঙা দেখতে পায় পুলিশ।  মঙ্গলবার সকালে টয়লেটের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে তাহমিনার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  এসময় রুবিনাকে আটক করা হয়।

তাহমিনার বড় ভাই রুহেল মিয়া স্ত্রী রুবিনা বেগমকে নিয়ে অন্য বাড়িতে বসবাস করছেন।

এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন, কি কারণে তাকে খুন করা হয়েছে তা জানা যায়নি।  তদন্তের পর বলা যাবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।  নিহত তাহমিনার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
৯ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে