সিলেট থেকে : ভালোবেসে একে অপরের হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করেছিল প্রেমিকযুগল। কিন্তু তাদের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান প্রেমিকার স্বজনরা। প্রেমিককে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন প্রেমিকার বাবা। মামলায় আসামি হয়ে প্রেমিকযুগল যান আদালতে আত্মসমর্পণ করতে।
রোববার বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মামলার জাল থেকে মুক্তির আশায় আদালতে উপস্থিত হন প্রেমিকযুগল। কিন্তু আত্মসমর্পণের আগেই প্রেমিকার চোখের সামনে থেকে অপহৃত হন প্রেমিক। প্রেমিকার বাবা ও তার স্বজনরা সিলেট জেলা বারের ২নং হলের সামনে থেকে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহৃত প্রেমিকের নাম আব্বাস আলী। সে সিলেটের জালালাবাদ থানার কান্দিগাঁও সুজাতপুরের মতিউর রহমান মতিনের ছেলে।
প্রেমিকা বিশ্বনাথ থানার বাওনপুরের আলতাব মিয়ার মেয়ে সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার হ্যাপী। ভালোবাসা দিবসে প্রেমিকযুগলের এমন পরিণতিতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, আব্বাস আলীর (২৩) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কলেজছাত্রী তাহমিনা আক্তার হ্যাপীর (২০)। তাহমিনা গত ২৮ জানুয়ারি প্রেমিক আব্বাসের হাত ধরে পালিয়ে যায় এবং আইন মোতাবেক বিয়ে করে।
এ ঘটনায় তাহমিনার বাবা আলতাব মিয়া গত ১ ফেব্রুয়ারি সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্বাস আলীসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
তাহমিনা তার প্রেমিক আব্বাসকে সঙ্গে নিয়ে রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসে। এসময় মামলার বাদী আলতাব মিয়া ও তার স্বজনরা সিলেট জেলা বারের ২নং হলের সামন থেকে প্রেমিক আব্বাস আলীকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
তাহমিনা তার স্বামীকে অপহরণ করে নেয়া হয়েছে বলে আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করে।
সিলেট জেলা বারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম তালুকদার জানান, আদালত পাড়া থেকে আব্বাসকে বাদী পক্ষের লোকজন ছিনিয়ে নেয়ার পর ভিকটিম তাহমিনা সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার বর্ণনা করে নিরাপত্তা প্রার্থনা করে। যুগান্তর
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস