সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:০২:৩৪

মাথা থেতলে রাজনের এলাকায় আরেক শিশুকে হত্যা

মাথা থেতলে রাজনের এলাকায় আরেক শিশুকে হত্যা

সিলেট : আলোচিত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যার রেশ কাটতে না কাটতে এবার আরেক শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  ৪২ দিনের মাথায় ওই এলাকায় আরেক শিশুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

গত ২০ আগস্ট বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঘোপালস্থ ফুড মার্ক ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরির সংলগ্ন শৌচাগারে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত শিশু শ্রমিকের নাম মোঃ আকমল হোসেন (১১)।  

সে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার পাহাড়পুর (পূর্ব রাজনপুর) গ্রামের দিনমজুর মো. এখলাছ মিয়ার পুত্র।  এ ঘটনায় এখলাছ মিয়া বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামি করে এসএমপির জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন শহরতলীর টুকেরবাজার ঘোপাল এলাকার লন্ডনী বাড়ি ও ফুড মার্ক ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরির মালিক মো. ওহাব আলী (৫৫) ও গোলাপগঞ্জ থানার ফুলসাঈন গ্রামের মৃত হাসিবের পুত্র বর্তমানে ঘোপাল ফুড মার্ক ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরির মিস্ত্রি আব্দুর রহমান (৪০)।

মামলা হলেও দুদিনেও ওই ফ্যাক্টরির মালিক ও মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।  তবে পুলিশ বলছে, মামলাটির তদন্ত চলছে।

গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে আকমল হোসেনের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।  একই দিন মাগরিব নামাজের পর জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।  নিহত আকমলরা চার ভাই ও দুই বোন।  ভাইদের মধ্যে আকমল তৃতীয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জালালাবাদ থানা এলাকার ঘোপালস্থ ফুড মার্ক ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে শিশু আকমল হোসেন দুই বছর ধরে ১৩শ’ টাকা বেতনে চাকরি করে আসছিল।  ঘটনার ৫/৬ দিন আগে ফ্যাক্টরির মালিক মো. ওহাব আলী ও মিস্ত্রি আব্দুর রহমানের কাছে আকমলের পিতা এখলাছ মিয়া বকেয়া বেতনের টাকা চাইতে গেলে কথাকাটাকাটি হয়।

জানা যায়, এরপর থেকে ওহাব আলী ও আব্দুর রহমান শিশু আকমলকে নির্যাতন করে আসছিলেন।  গত ২০ আগস্ট বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ওহাব আলী ও আব্দুর রহমান ফ্যাক্টরির শৌচাগারে নিয়ে আকমলকে দেয়ালের সাথে ঠেকিয়ে ব্যাপক মারধর করে।  ইটের টুকরো দিয়ে তার মাথা থেতলে দেয়।

এতে আকমলের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।  অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় তারা।  সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গের হিমাগারে রেখে দেয়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে ওইদিন রাত সোয়া ৮টার দিকে নিহত আকমলের পিতা ওসমানী হাসপাতালে ছুটে গিয়ে আকমলের মাথা থেঁতলানো, মুখমণ্ডলের ডান পাশ ফুলা এবং কান ও নাক দিয়ে রক্ত বেরুতে দেখেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেনু চন্দ্র দেব জানান, হত্যার রহস্য উদ্ঘানে তদন্ত চলছে।  আসামিদের গ্রেফতারের পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
২২ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে