সিলেট: সিলেটের রাজপথে একসময় ছিল বিএনপির একক আধিপত্য। রাজপথে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকেও হিমশিম খেতে হতো। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি এম ইলিয়াস আলী ঢাকা থেকে ‘নিখোঁজে’র পর অনেকটা ঝিমিয়ে পড়ে সিলেট বিএনপি। ত্যাগী নেতা-কর্মীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন রাজপথের আন্দোলনে। ফলে বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরালো হয়নি সিলেটে। আন্দোলন নিয়ে উল্টো দূরত্ব সৃষ্টি হয় নেতা ও কর্মীদের মধ্যে।
এ অবস্থায় চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসে জেলা ও মহানগর বিএনপিতে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন। সিলেটে দলকে আরও সুসংগঠিত করতে সহসাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি দিলদার হোসেন সেলিমকে। কেন্দ্রীয় এবং জেলা ও মহানগর শাখার নতুন নেতৃত্ব আসার পর সিলেটে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বিএনপি। নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলকে শক্তিশালী করতে তারা তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও।
সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খুব একটা ভালো করতে পারছে না বিএনপি। বিভিন্ন ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু সিলেটে এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলোতে দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সিলেটে ভালো ফলাফল করেছেন বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেট জেলার ৩টি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৬টিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, ৯টিতে বিএনপি ও ৩টিতে বিএনপির বিদ্রোহী, ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। দীর্ঘদিন থেকে নিষ্ক্রিয় থাকা নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা নতুন নেতৃত্বে জেগে ওঠায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি ভালো ফলাফল করতে পেরেছে বলে মনে করছেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।-বিডি প্রতিদিন
মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ