সিলেট : রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর পলাতক যেসব জঙ্গির নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম তাহমিদ রহমান শাফি ও তামিম আহমদ চৌধুরী। এ দুজনের বাড়ি সিলেটে। গুলশান হামলার পর তিন যুবকের এক ভিডিওবার্তা থেকে পরিচয় মেলেছে শাফির।
আর তিন বছর আগে কানাডা থেকে পালিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছেন তামিম চৌধুরী— এমন ধারণা গোয়েন্দাদের। এ দুই যুবক সিলেটের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাদের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা নিয়ে অবাক সিলেটের মানুষ। নিজ এলাকার লোকজন বিশ্বাস করতে পারছেন না প্রগতিশীল এমন পরিবারের ছেলেরা জঙ্গির খাতায় নাম লেখাতে পারে।
তামিম আহমদ চৌধুরীর পিতা শফিকুর রহমান চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামে। শফিকুর রহমান চৌধুরী চট্টগ্রামে জাহাজে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তিনি পরিবার নিয়ে কানাডায় পাড়ি জমান। তামিমের জন্ম কানাডায়। এলাকায় শফিকুর রহমান চৌধুরী ও তার পরিবারের বেশ সুনাম রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে তামিম বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। কানাডার উইন্ডসরে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন তামিম। ২০১৩ সালে হঠাৎ কানাডা থেকে নিখোঁজ হন তিনি।
ঢাকার গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, বাংলাদেশে আইএসের প্রশিক্ষণ, নিয়োগ কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গিদের লিয়াজোঁ রক্ষাকারী বিবেচনায় গোয়েন্দারা যে তিনজকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন তাদের মধ্যে তামিম আহমদ চৌধুরী অন্যতম।
এ ছাড়া কিছুদিন আগে আইএসের ইংরেজি ভাষার প্রকাশনা দাবিক-এ তাকে আইএসের বাংলাদেশ শাখার প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওই ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকারে তামিম ভারতে রক্তাক্ত হামলার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রতিবেশী জাকারিয়া আহমদ চৌধুরী জানান, তামিমরা সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ। এলাকায় তাদের পরিবারের বেশ সুনাম রয়েছে। -বিডি প্রতিদিন
২১ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস