সিলেট: মুঠোফোনে পরিচয়। নিয়মিত যোগাযোগ। অতঃপর প্রেম। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ঘটল বিপদ। কথিত প্রেমিকা ও তাঁর স্বামী যুবকটিকে জিম্মি করে তাঁর পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ চান। খবর পেয়ে পুলিশ আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিকাকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার এ ঘটনা ঘটেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীগাঁও ইউনিয়নের খাসবারহাল গ্রামে। প্রতারণার শিকার জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৩০) গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাসবারহাল গ্রামের আবদুল জলিলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আহত অবস্থায় তাঁকে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জাহাঙ্গীর হোসেন একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের মোহনপুর গ্রামে।
জাহাঙ্গীরের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মাস খানেক আগে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে মুঠোফোনে ওই নারীর আলাপ হয়। জাহাঙ্গীরকে তিনি তাঁর বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ জানান। সোমবার রাত আটটার দিকে খাসবারহাল গ্রামে আবদুল জলিলের বাড়িতে যান জাহাঙ্গীর। সেখানে তাঁরা কৌশলে জাহাঙ্গীরকে আটকে রাখেন।
মারধর করে জাহাঙ্গীরের পরিবারের কাছে তাঁরা দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ চান।
সুনামগঞ্জের মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম বলেন, জাহাঙ্গীরের পরিবারের কাছ থেকে তিনি মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টায় ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিক আবদুল জলিল পালিয়ে যান। তাঁর স্ত্রীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন। জলিলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।-প্রথম আলো
৩ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ