রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে পৌরমার্কেটে ফুলকপি ও পাতাকপি গরুর খাদ্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ১০০ টাকা দরে প্রতি বস্তা। কিছুদিন আগেই প্রতি কেজি কপি ৭০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে পানির দরে।
এমন চিত্র দেখা গেছে ১৮ জানুয়ারি সোমবার সকালে রাণীশংকৈলের শিবদিঘী প্রাত্যাহিক সকালের সবজি বাজারে। ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি ১ থেকে দেড় টাকা আর বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দরে।
এ নিয়ে কৃষকদের মনে অসন্তোষ। তারা বলছেন মাঠ থেকে বাজারে পরিবহন খরচ তুলে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। সেই সাথে মাঠে কপির পরিচর্চার টাকা একেবারেই বিফলে। প্রথমদিকে কিছুটা দাম বেশি ছিল এখন একেবারে পানির দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
উপজেলার নেকমরদ থেকে কপি কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, ৩ বস্তা কপি ক্রয় করেছেন ২১০ টাকায় গরুকে খাওয়ানোর জন্য।
পৌরমার্কেটের চা দোকানদার আমান জানান, এখন বাজারে গরুখামারিরা তাদের গরুকে খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছে বস্তা বস্তা কপি। তিনি নিজেও তার গরুর জন্য প্রতিদিন সকালে কম দামে কপি কিনে নিয়ে যান বলে জানালেন।
তবে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা খুচরা পাইকাররা বস্তা প্রতি ভালো মানের কপি ১২০ টাকায় ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। খুচরা বাজারে ২ থেকে ৫ টাকা দরে কপি বিক্রি করছেন তারা।
জানা যায়, রানীশংকৈলের শিবদিঘী প্রত্যাহিক বাজার ঠাকুরগাঁও জেলার সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে নামডাক রয়েছে। তাই এ বাজারে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে সবজি পাইকাররা। এ বাজারে সব ধরনের আগাম সবজি ভোর থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়।
কপি বিক্রি করতে আসা সাদিকুল নামের এক কৃষক জানান, একটু ভালো দাম পেলে কীটনাশক ও পরিচর্চার খরচ উঠে আসতো। কৃষকদের আর কপি ফসলে লোকসান গুণতে হতো না।