আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে এবার অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের হাটছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামিক স্টেটের সাথে সংশ্লিষ্ট ৩৫ জন ব্যক্তি ও গোষ্ঠির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির।
জঙ্গিগোষ্ঠিটির বিরুদ্ধে এটিই এযাবতকালের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অবরোধ। এই অবরোধটি আরোপ করা হয়েছে ইসলামিক স্টেটের কার্যক্রম ব্যহত করার উদ্দেশ্যে যার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে আইএসের অর্থনৈতিক, কৌশলগত এবং সদস্য সংগ্রহের কর্মকাণ্ড।
বিস্তৃত এই অবরোধের তালিকায় রয়েছে মিশরের আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রুশ বিভিন্ন উপদল পর্যন্ত। এছাড়াও ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তান থেকে লিবিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিবর্গও রয়েছে এই তালিকায়।
একইসাথে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের কয়েকজন নাগরিককেও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদের কয়েকজনের নাম এসপ্তাহেই জাতিসংঘ ঘোষিত আল-কায়েদা অবরোধ তালিকায়ও উল্লেখ করা হয়েছিল।
ওয়াশিংটন থেকে এমন এক সময়ে এই ঘোষণা দেয়া হল যখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে জাতিসংঘের একটি সম্মেলন চলছে, যার সভাপতিত্ব করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
সম্মেলনে ওবামা বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যেকোন উপায়ে ইসলামিক স্টেটকে প্রতিহত করতে কাজ চালিয়ে যাবে। তবে তিনি এও বলেন যে, ঐ সংগঠনটি ঘুরে দাড়াচ্ছে এবং আরো বড় হচ্ছে।
মার্কিন কংগ্রেসের নতুন একটি গবেষণায়ও বলা হয়েছে যে, সিরিয়া এবং ইরাকে প্রায় ৩০,০০০ বিদেশী যোদ্ধা এরই মধ্যে আইএস এবং অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠির সাথে যোগ দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামিক স্টেটের আরেকটি শক্তি হচ্ছে যে তারা তাদের দখলকৃত এলাকা থেকেই প্রচুর পরিমাণ অর্থ আয় করছে এবং শুধুমাত্র তেল ব্যবসা থেকেই প্রতিবছর তাদের আয় প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। সূত্র: বিবিসি
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস