আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিন চিন সাগরে নিজেদের অধিকার হারাবার পর এখন খুবই চাপে আছে চীন। চীন আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত মানতে অস্বিকার করে দিয়েছিল। চীনের এই সিদ্ধান্তের পর দক্ষিন চীন সাগর এই মুহুর্তে উত্তপ্ত হয়ে আছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় বলেছিলেন স্পার্টি আইল্যান্ডে সৈন্য নিয়োগ করবেন না। কিন্তু চীন দক্ষিন চীন সাগরের আলাদা আলাদা দ্বীপে নিজেদের সেনা পাঠিয়ে রাখছে এবং ক্যাম্পও তৈরি করছে। ভারতের তরফ থেকেও চীনকে পরামর্শ দে্ওয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আন্তর্জাতিক আইনের সম্মান করে। দক্ষিন চীন সাগরে তাদের কোনো রকমের উদ্যোগ এলাকার পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করতে পারে।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশানাল স্টাডিজের তোলা ছবি থেকে চীনের মিথ্যাটা এখন সবার সামনে এসে গেছে। স্পার্টি দ্বীপে চীনের তরফ থেকে একটি বিমানবন্দর তৈরি করা হচ্ছে যেখানে ফাইটার বিমান নামতে পারে। ছবিতে এটা প্রমানিত হচ্ছে যে চীন ফেয়ারি ক্রাস, সুবি এবং মিসচিপ রিফকে সেনা ক্যাম্পে বদলে ফেলতে চাইছে। এই সবকটা্ দ্বীপই বিতর্কিত।
এই সব কটা দ্বীপে এখনও কোনো ফাইটার বিমান নেই। কিন্তু এই দ্বীপ গুলির নির্মান কাজ চীন এমন ভাবে করছে যাতে তারা যুদ্ধের জন্য এই দ্বীপ গুলিকেই ব্যবহার করতে পারে। তবে চীনের তরফ খেকে বলা হচ্ছে, এই দ্বীপ গুলির উন্নতির চেষ্টা করা হচ্ছে এর সঙ্গে কোনো রকমভাবেই যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু ওয়াশিংটনে অবস্থিত সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশানাল স্টাডিজের বক্তব্য চীন সারা বিশ্বকে বোকা বানাচ্ছে।
১১ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস