আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় গিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসে যোগ দেওয়া ব্রিটিশ স্কুলছাত্রী খাদিজা সুলতানা বিমান হামলায় নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সে দুই বন্ধুর সঙ্গে সিরিয়ায় পালিয়ে যায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন স্কুল থেকে বিরতির সময় দুই বান্ধবী শামিমা বেগম ও আমিরা আবাছির সঙ্গে সিরিয়ায় পালিয়ে যায় খাদিজা। চলতি বছরের মে মাসে সিরিয়ার রাকাতে সন্ত্রাসীদের দুর্গতে বিমান হামলা চালানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই হামলায় খাদিজার মৃত্যু হয়।
ব্রিটিশ টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইটিভিকে খাদিজার বোন হালিমা খানম জানান, তার বোন খাদিজা যে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালাবে সে ব্যাপারে তারা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চিন্তা করছিলাম এরকমই কিছু একটা ঘটবে।’ তবে আমরা ভেবেছিলাম কোনও একটা নিরাপদ স্থানে সে আছে।
খাদিজার পরিবারের আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জি গার্ডিয়ানকে জানান, খাদিজার মৃত্যুর খবরটি তার পরিবার কয়েক সপ্তাহ আগেই নিশ্চিত হয়েছে। নিহত হওয়ার আগে খাদিজা আইএস ছাড়তে চেয়েছিল।
খাদিজার পরিবার ও রাকার বাসিন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আইটিভি জানায়, খাদিজা মুক্ত হতে চেয়েছিল। তাই সে সীমান্ত অতিক্রম করে ব্রিটেনে নিজ শহরে আসার চেষ্টা করেছিল।
প্রতিবেদনের আরও জানানো হয়, খাদিজা মুক্ত হওয়ার আগেই মারা যায়। সে যে স্থানে অবস্থান করছিল, চলতি বছরের মে মাসে বিমান হামলায় তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। তবে ব্রিটিশ ফরেইন অফিস, খাদিজার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি।
১২ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম