শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০১৬, ০৫:০৫:০৫

মার্কিন বিমানবন্দরে হেনস্থার কবলে পড়েছেন যেসব ভারতীয়রা

মার্কিন বিমানবন্দরে হেনস্থার কবলে পড়েছেন যেসব ভারতীয়রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে আটকানো হলো বলিউড কিং শাহরুখ খানকে। ২০০৯-এ নিউ জার্সির পর ২০১২-তে নিউ ইয়র্কের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের জন্য তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল বলিউড বাদশাকে। সম্প্রতি এই তালিকায় যুক্ত হলো লস অ্যাঞ্জেলস বিমানবন্দরের নাম। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকানো হলো শাহরুখ খানকে। তবে তিনিই প্রথম নন। এই তালিকায় রয়েছেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম থেকে শুরু করে আমির খান, মীরা শঙ্কর থেকে ইরফান খান, দেশ-বিদেশের বিমানবন্দরে নানা কারণে ঝামেলায় পড়তে হয়েছে এমন সেলিব্রিটির সংখ্যা নেহাত কম নয়।

শাহরুখ খান : ২০০৯-এ ‘মাই নেম ইজ খান’-এর প্রমোশনে গিয়ে নিউ জার্সির বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের জন্য তাকে তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল। পরে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপে ছাড়া পান কিং খান। ২০১২-তে নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরের কর্মীরা তাকে ইয়েল ইউনিভার্সিটির অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য এয়ারপোর্টের বাইরে যেতে নিষেধ করেছিলেন।

এপিজে আব্দুল কালাম : ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতিও রেহাই পাননি এই হয়রানি থেকে। ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউ
ইয়র্কের বিমানবন্দরে নিরাপত্তার অজুহাতে তার জুতো এবং জ্যাকেট খুলিয়ে নেয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য সে সব ফিরিয়ে দেয়া হয় তাকে।

আমির খান : ২০১২ সালে শিকাগো বিমানবন্দরে কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশনে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্টকে। কিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই সময় নাকি স্ট্রিপ সার্চও করা হয়েছিল আমিরের।

প্রফুল পটেল : ২০১০-এর সেপ্টেম্বরে মার্কিন বিমানবন্দরে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রফুল পটেলকেও।

ইরফান খান : ২০০৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস এবং ২০০৯ সালে নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ইরফান খানকে।

মীরা শঙ্কর : চরম হেনস্থার হাত থেকে বাদ যাননি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত মীরা শঙ্করও। ২০১১ সালে মিসিসিপি বিমানবন্দরে তাকে আটক করে বডি সার্চ করা হয়েছিল।

জন আব্রাহাম : ২০০৯ সালে নিউ ইয়র্ক এয়ারপোর্ট তার পাসপোর্টে আফগানিস্তান এয়ারপোর্টের স্ট্যাম্প দেখে আটক করে। তবে তিনি শুটিংয়ের কারণে সেখানে গিয়েছিলেন জানতে পেরে ছেড়ে দেয়া হয় তাকে।

হরদীপ পুরী : ২০১০ সালে হিউস্টন এয়ারপোর্টে ভারতের সাবেক ফরেন সার্ভিস অফিসার হরদীপ পুরীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

নীল নীতিন মুকেশ : নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে হেনস্থার হাত থেকে বাদ যাননি অভিনেতা নীল নীতিন মুকেশও।

জর্জ ফার্নান্ডেজ : ডালাস বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল ভারতের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজকেও।

কবীর খান : মার্কিন বিমানবন্দরে তিন বার হেনস্থার হাতে পড়তে হয়েছে অভিনেতা-পরিচালক কবীর খানকে।

দেবযানী খোবড়াগাড়ে : ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে চরম হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় কূটনীতিবিদ দেবযানী খোবড়াগাড়ে। ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে জামাকাপড় খুলে তল্লাশি চালানো হয়েছিল।-আনন্দবাজার
১১ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে