আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বয়স মোটে চার বছর। কিন্তু দেশের প্রতিরক্ষায় তার কৃতিত্ব কোন অংশে খাটো ছিল না। আর তাই ভারতীয় সেনার ট্র্যাকার কুকুর মানসীকেই এবার দেওয়া হচ্ছে মরণোত্তর শহীদ সম্মান।
কুপওয়াড়ার বাসিন্দা বসির আহমেদ ছিলেন তার পালক। সেনা প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত মানসী বরাবরই জঙ্গির সন্ধানে ছিল দক্ষ। তার সাহায্যে একাধিকবার জঙ্গি ধরা সম্ভব হয়েছে। কাশ্মীরের মতো উপদ্রুত এলাকায় মানসীর মতো দক্ষ কুকুরের সহায়তা ভারতীয় সেনার কাছে অত্যন্ত জরুরি ছিল।
২০১৫ তে ভারতীয় সেনাদের একাধিক সাফল্যের স্বাদ দিয়েছিল সে। কিন্তু এরকমই এক অভিযানে বেরিয়ে আর ফিরে আসেন মানসী। শত্রুর আনাগোনা আঁচ পেয়ে বেশ দুর্ভেদ্য জঙ্গলের পৌঁছে গিয়েছিল সে। তার ডাক শুনে শত্রুরা গুলি চালায়। মারাত্মক জখম হয় মানসী। কিন্তু তার এই সাহসের ফলেই ভারতীয় সেনারা পাল্টা প্রত্যাঘাত করার সুযোগ পেয়েছিল। এই অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল মানসীর পালক বসিরেরও।
সেনার মতোই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল মানসীর। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এবছর তাকে দেওয়া হল মরণোত্তর বিশেষ শংসাপত্র। দেশের যুদ্ধ শহীদের সম্মানই দেওয়া হল বছর চারেকের ল্যাব্রেডরটিকে। দেশের জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের নাম যে গ্যাজেটে উল্লেখ থাকে, সেখানে থাকবে মানসীর নামও। সেনা কুকুর হিসেবে সেই সম্ভবত প্রথম এই সম্মান পেতে চলেছে।
১৬ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম