বৃহস্পতিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৭:২৯:৫৯

দাড়ি বড় রাখতে চৌদ্দঘাট ঘুরে কেরালা হাইকোর্টে মামলা

দাড়ি বড় রাখতে চৌদ্দঘাট ঘুরে কেরালা হাইকোর্টে মামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিজের দাড়ি বড় রাখতে চৌদ্দঘাট ঘুরে অবশেষে ভারতের কেরালা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক মুসলিম পুলিশ কর্মকর্তা।  

আদালতে দাখিল করা পিটিশনে কেরালার আর্ম ফোর্সে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা রিয়াজ জানান, একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে তিনি যাতে তার দাড়ি রাখতে পারেন তাকে সেই অনুমতি দেয়া হোক। রিয়াজের অনুরোধের ভিত্তিতে আদালতের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে।

রিয়াজ জানান, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুলিশ ও আর্মিতে কর্মরত শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা তাদের চুল ও দাড়ি রাখতে পারেন।  তাদের দাড়ি রাখার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় না।  কিন্তু মুসলিমদের সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করাটা খুবই দুঃখজনক।  

আবেদনকারী জানিয়েছেন, ২০১২ সালে পবিত্র রমজান মাসে তাকে দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।  এরপর ২০১৩ সালে ৩১ মে রাজ্যের অ্যাসিস্টেন্ট কমাডান্ট অফ পুলিশকে চিঠি দিয়ে স্থায়ীভাবে সেই দাড়ি রাখার জন্য অনুরোধ জানান রিয়াজ।  

‌‘কিন্তু পুলিশের তরফে জানিয়ে দেয়া হয় যেহেতু এটা ধর্ম সম্পর্কিত বিষয় তাই এখানে রাজ্য সরকারই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।  এরপর নিজের দাড়ি পাকাপোক্ত রেখে দেয়ার আর্জি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি লেখেন রিয়াজ’।

সেখানে রিয়াজ উল্লেখ করেন নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারাও ধর্মীয় ও মেডিকেল গ্রাউন্ডে দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকেও কোন যথাযথ কারণ দেখিয়ে তার আর্জি ফিরিয়ে দেয়া হয়।  

তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের থেকে সাড়া না পেয়ে ২০১৪ সালের জুনে ফের রাজ্য পুলিশের প্রধানের কাছে চিঠি লেখা হয়।  কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয় রিয়াজের দাড়ি রাখার অনুরোধ মানা যাবে না।

পিটিশনে রিয়াজ জানান, রাজ্যের পুলিশ আইনে এমন কোনো শর্ত নেই যে, দাড়ি বড় করা যাবে না। তবু তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।  

তার অভিযোগ, সংবিধান অনুযায়ী তার দাড়ি বড় রাখার আর্জি খারিজ করাটা সম্পূর্ণ অবৈধ।  কেরালা রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছ থেকে দাড়ি বড় রাখার আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর গত সোমবার কেরালা হাইকোর্টে মামলা করেন রিয়াজ।  এখন হাইকোর্টের রায়ের অপেক্ষায় থাকতে হবে তাকে।
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে