আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাস্তার পাশে পড়ে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল গরুটি৷ পাশ দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছিলেন পথচারীরা। এমন তো কতই হয়। তবে বিষয়টি নজরে পড়ে যায় জীবদয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সদস্যদের। তাঁরা গরুটিকে ভর্তি করান ট্রাস্টেরই হাসপাতালে। ঘটনাটি হয়েছে আহমেদাবাদে। চিকিৎসক কার্তিক শাস্ত্রী প্রথমে ভেবেছিলেন গরুটি সন্তানসম্ভবা। তাই বোধহয় শারীরিক দুর্বলতার জন্য হাঁটাচলা করতে পারছে না। তবে তাঁর খটকা যায় না।
শেষমেষ গরুটির শারীরিক পরিস্থিতি দেখে তিনি অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই হতবাক হলেন এই পশু চিকিৎসক৷ প্রায় ১০০ কেজি প্লাস্টিক ও বর্জ্য পদার্থ ছিল গরুটির পেটে, যা একে একে বার করেছেন তিনি। শুধু প্লাস্টিকই নয়, সঙ্গে পেরেক, বিদ্যুতের তার — সবই ছিল এই আবর্জনার মধ্যে।
রাস্তায় পড়ে থাকা গরুর পেট থেকে আবর্জনা বের হওয়া কোনও নতুন ঘটনা নয়৷ এর আগেও ২৫ থেকে ৪০ কেজির আবর্জনা পাওয়া গিয়েছে। তবে এত বেশি পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ কোনও প্রাণীর দেহ থেকে পাওয়া একটা বড় ব্যাপার বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক এবং ট্রাস্টের সদস্যরা। এর জন্য তাঁরা দায়ী করেছেন মানুষের সচেতনতার অভাবকেই। তাছাড়া গরুটির পেট থেকে যে প্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে, তা চার মাইক্রনের বেশি মোটা। অথচ সরকার ও পরিবেশ বিভাগ থেকে বহুদিন আগেই চার মাইক্রনের উপর প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কী করে সেই প্লাস্টিক উৎপাদন হচ্ছে ও বাজারেও ছড়াচ্ছে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। -এবেলা
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম