আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গতকাল বাড়ি বয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলেও মুখ ফিরিয়ে নেন হুরিয়ত নেতারা। বাড়ির দরজাই খোলেননি শীর্ষ কট্টরপন্থী নেতা সাঈদ আলি শাহ গিলানি। কথা না বলেই ফিরে আসতে হয় দিল্লী থেকে দু’দিনের কাশ্মীর সফরে যাওয়া সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের কয়েকজন সদস্যকে।
এজন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাল্টা একহাত নিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এহেন ‘অসহযোগিতামূলক’ মনোভাবকে আক্রমণ করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওদের এমন আচরণ থেকেই স্পষ্ট যে, ওরা কাশ্মীরিয়ত্, ইনসানিয়াত, জমহুরিয়ত-এ বিশ্বাসই করেন না।
রাজনাথ বলেন, আমি এখানে পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, গতকাল (রোববার) প্রতিনিধিদলের কয়েকজন হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে নিজেদের উদ্যোগে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আমরা এতে হ্যাঁ বা না কিছুই বলিনি। কিন্তু তারপর কী হল, সেটা আপনারা সকলেই দেখেছেন। সে ব্যাপারে আমি বিস্তারিত বলতে চাই না। তবে ফিরে এসে আমাদের বন্ধুরা তারা যে ব্যবহার পাওয়ার কথা জানিয়েছেন, তাতে বলা যায়, এটা কাশ্মীরীয়ত নয়। একে ইনসানিয়ত (মানবিকতা) বলা যায় না। প্রতিনিধিরা কথা বলতে গিয়েছিলেন। কেউ আলোচনার জন্য কারও কাছে গিয়ে যদি প্রত্যাখ্যান পান, তবে সেটা জমহুরিয়ত (গণতন্ত্র) নয়।
রোববার সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, জনতা দল (ইউ) নেতা শারদ যাদব, আরজেডি’র জয় প্রকাশ নারায়ণ ও এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি প্রমুখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গিলানির বাড়ির দরজাই খোলেনি। এমনকী সেখানে বিক্ষোভ দেখানো হয় তাদের।
রাজনাথ বলেন, শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি চান, এমন সবার কাছেই আলাপ-আলোচনার জন্য আমাদের দরজা, জানালা খোলা রয়েছে। কিন্তু নিকট ভবিষ্যতেও পাকিস্তানের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন রাজনাথ। তিনি বলেন, আগে নিজেদের দেশের ভিতরে লোকজনের সঙ্গে তো কথা বলি।
রাজনাথ জানান, আগের কাশ্মীর সফরগুলির মতোই এবারও তিনি রাজ্যে শান্তি, সুস্থিতির পক্ষপাতী সকলের সঙ্গেই কথা বলার আগ্রহ প্রকাশে করেছেন। তবে আলোচনা যে শুধু ভারতের সংবিধানের চৌহদ্দির মধ্যেই হবে, এও স্পষ্ট করে দেন। এ প্রসঙ্গেই তার দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা, জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে—এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনও মত নেই। আমি জানি, কাশ্মীরবাসীও এটাই চান। সূত্র : এবিপি
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি